মালদা, 31 মার্চ : ভোটের মুখে শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত বিজেপির যুব নেতা ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুব নেতাকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে আজ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ তাদের দাবি, ওই যুব নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগকারিনীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তদন্ত সাপেক্ষেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷
ঘটনার সূত্রপাত হোলিতে রং দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৷ অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “সোমবার সন্ধে ছ'টা নাগাদ আমাকে দু'জন রং দিতে আসে ৷ ওই দু’জনের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ৷ তাদের মুখ চিনি ৷ বিশেষ কিছু জানি না ৷ সেই সময় আমার বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ স্বামী ও ছেলে রঙ খেলতে বেরিয়েছিল ৷ আমি ওদের বাড়ির ভিতর ঢুকতে বারণ করি ৷ কিন্তু আমার বারণ সত্বেও ওরা জোর করে ঘরে ঢোকে ৷ ওরা দু’জনেই মদ খেয়ে ছিল ৷ ওদের একজন আমার হাত ধরে রাখে, আরেকজন আমার শরীরে রং দেয় ৷ রং দেওয়ার আছিলায় শরীরের গোপন জায়গাতেও হাত দেয় ৷ আমি চিৎকার করে উঠি ৷ কিন্তু আমাদের বাড়ির আশেপাশে কেউ থাকে না ৷"
অভিযোগকারী মহিলা আরও বলেন, "ওদের একজনের নাম সঞ্জয় দাস, আরেকজনের নাম বিধান দাস ৷ ওরা আমাকে হুমকি দেয়, ওরা বিজেপির নেতা ৷ কোথাও অভিযোগ করেও কিছু করতে পারব না ৷ ওরা আমাদের এলাকাছাড়া করারও হুমকি দেয় ৷ আমি জোরে চিৎকার শুরু করলে ওরা পালিয়ে যায় ৷ রাতেই আমি এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷”
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে আটক করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ সঞ্জয় ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি যুব মোর্চার সহকারী আহ্বায়ক ৷ তাঁর ভাতৃবধূ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য ৷ সঞ্জয়কে আটক করার প্রতিবাদে আজ দফায় দফায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা ৷ আইসির সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন হরিশ্চন্দ্রপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ৷