মালদা, 16 ফেব্রুয়ারি : মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল । শাসকদলের বিধায়কের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ও যুব তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ গতরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরেই ৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে ইংরেজবাজার থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ রাত থেকে তাঁর বাড়ির সামনে প্রহরায় রয়েছে পুলিশ ৷ ভোটের মুখে এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে মালদা শহরে ৷
জানা গিয়েছে, রাত দশটা নাগাদ নীহারবাবুর সরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা চলে যান ৷ অভিযোগ, তার বেশ কিছুক্ষণ পর প্রায় দেড়শো জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় ৷ বাড়ির সামনে রাখা চেয়ার, মোটরবাইক ভাঙচুর করে ৷ এমনকী বিধায়কের ব্যক্তিগত দপ্তর-সহ ঘরের ভিতরেও হামলা চলে । ঘটনাস্থানে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷ আসেন থানার আইসিও ৷
নীহারবাবুর অভিযোগ, "কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি ও প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তাঁরা দু’জনেই হামলার সময় বাড়ির অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও আমাকে মানুষ বা দলের কাছে অপ্রিয় করতে পারছেন না ৷ তাই তাঁরা এই চক্রান্ত করে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন ৷ এটা পরিকল্পিত হামলা ৷ এরা আমাদের পার্টির লোক কি-না জানি না ৷ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শিক্ষা কাউকে দেননি ৷ আমি ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলাম ৷ হাত জোড় করে হামলাকারীদের কাছে অনুনয় করেছি ৷ আমাকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে ৷" নীহারবাবুর স্ত্রী, ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর গায়েত্রী ঘোষ বলেন, “গতকাল এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ সেখানে পার্টির কোনও বিষয় ছিল না ৷ রাতে বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা চলে যাওয়ার পর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ির তিনদিক থেকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ আমি দেখেছি, হামলাকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস ৷ ওরা আমার ছেলেকে খুনের চক্রান্ত করেছিল ৷"