মালদা, 22 সেপ্টেম্বর : পুজোর আগে বন্যায় ভ্রূকুটি মানিকচকের বাসিন্দাদের ৷ গত কয়েকদিন ধরে বাড়তে বাড়তে চরম বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা ৷ বাড়তে শুরু করেছে ফুলহরের জলস্তরও ৷ ইতিমধ্যেই মানিকচকের ভূতনি চরের কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছে ৷ জলবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার । কিন্তু অভিযোগ, সরকারিভাবে এখনও কোনও সাহায্য এসে পৌঁছায়নি । তাই সরকারি ত্রাণের দিকেই চেয়ে রয়েছে মানিকচকের ভুতনি গদাই চরের বাসিন্দারা ৷ যদিও মানিকচকের BDO সুরজিৎ পণ্ডিত জানিয়েছেন, গতকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ জলবন্দীদের যোগাযোগের জন্য সাতটি নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ আজ সকাল থেকে গদাই চর এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ বহাল রয়েছে ৷
গত কয়েকদিন ধরেই ফুঁসতে শুরু করেছে গঙ্গা ও ফুলহর ৷ আজ গঙ্গার জলস্তর চরম বিপদসীমা (বিপদসীমা 24.69 মিটার, চরম বিপদসীমা 25.30 মিটার) ছাড়িয়ে গেছে ৷ সেচ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দুপুর 1 টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.31 মিটার ৷ এখনও বেড়ে চলেছে জলস্তর ৷ ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গেছে বহু বাড়ি । এমন কী, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও জলের নিচে ৷ জলবন্দী মানুষ অবশ্য এখনও বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যায়নি ৷ জলের উপর মাচা বেঁধেই বসবাস শুরু করেছেন তাঁরা ৷ যোগাযোগের জন্য যানবাহন বলতে টিনের তৈরি ছোটো ডোঙা ৷
অন্যদিকে গঙ্গার জলের চাপ পড়ছে ফুলহরেও ৷ আজ দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.09 মিটার ৷ এই মুহূর্তে বিপদসীমার (27.43 মিটার) সামান্য নিচে দিয়ে বইছে এই নদী ৷ ফুলহরের জল উঠতে শুরু করেছে নদীতীরের অসংরক্ষিত এলাকায় ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রতুয়া 1 ব্লকের রুহিমারি, জঞ্জালিটোলা, বাজিতপুর, নাককাট্টি, সম্বলপুর, রাজকিশোরটোলা, বোধনটোলা সহ একাধিক গ্রামে ঢুকে পড়েছে ফুলহরের জল ৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের মীরপাড়া, রশিদপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল সহ আরও কিছু গ্রামেও ৷ যার জেরে জলবন্দীয় হয়ে পড়েছে প্রায় 40 হাজার মানুষ ৷