কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশের সময় সরকারি কর্মীদের জন্য 3 শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন (3 Percent DA for State Government Employees) অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, এতে খুশি নয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্রীয় হারেই বকেয়া ডিএ দিতে হবে। যতদিন না-পর্যন্ত এই দাবি পূরণ করা হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে তাদের সঙ্গে 30টি বামপন্থী ও সহযোগী সংগঠনের তরফে বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারপর রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যুক্তকমিটি, 12 জুলাই কমিটি, শ্রমিক কর্মচারী ও শিক্ষকদের যৌথ আন্দোলন মঞ্চ আহুত এবং যুক্তকমিটি-সহ 30টি সংগঠনের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সুবিশাল মিছিল করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যুক্তকমিটি সাধারণ সম্পাদকতাপস ত্রিপাঠি বলেন, "রাজ্য সরকার আজ তার বাজেট অধিবেশনে আগামী মার্চ মাস থেকে কর্মচারী-সহ অবসরপ্রাপ্তদের মাত্র 3 শতাংশ হারে মহার্ঘ্যভাতা ঘোষণা করেছে। অথচ, মহার্ঘ্যভাতা পাওনা হয়েছে 35 শতাংশ।"
তিনি আরও বলেন, "যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে আরও 4 শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা ঘোষণা করে দিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যে মাত্র 3 শতাংশ মহার্ঘ্যভাতার ঘোষণা নিঃসন্দেহে কর্মচারীদের সম্পূর্ণতই বঞ্চনার প্রকাশ, কাজেই আমরা এই ঘোষণার তীব্র বিরোধী। হকের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই, ভিন্ন অন্য কোনও রাস্তা নেই। ইতিমধ্যেই আমরা সেই লড়াইতে সামিল আছি এবং অন্যেরাও তাদের মত করে করছেন। আমরা চাই এবিষয়ে ঐক্যবদ্ধ লাগাতর ধারাবাহিক সংগ্রাম।"
আরও পড়ুন:3% ডিএ বৃদ্ধি রাজ্যের কর্মী ও পেনশনভোগীদের; আর্থিক সংকটেও মিলছে সুযোগ, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এআইইউটিসি'র রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস বলেন, "সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া 35 শতাংশ ডিএ-এর মধ্যে মাত্র 3 শতাংশ বৃদ্ধি ঘোষণা করা হয়েছে। যা বাস্তবে বকেয়া ডিএ পাওয়ার দাবিতে লাগাতার অবস্থানরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিপথে পরিচালিত করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা মাত্র। আরও বহু ক্ষেত্রে এই বাজেট শ্রমিক স্বার্থবিরোধী। এই রাজ্য বাজেটে শ্রমজীবী মানুষের জন্য কিছু করা হয়নি। অনেক গালভরা কথা থাকলেও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনও বাস্তব পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। চা শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরি ঘোষণা হয়নি, মিড-ডে মিল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বহু দিনের দাবি পূরণের জন্য কোনও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি।"