মালদা, 21 মার্চ : কান টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত । তাই অন্ধকার থেকে এক এক করে বেরিয়ে আসছে দুষ্টচক্রের মাথারা । মালদায় বন্যাত্রাণের (Malda flood relief scam) টাকা লুটের ঘটনায় এক অভিযুক্ত দু’দিন আগেই থানায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন । সোমবার একই পথে হাঁটলেন আরও এক অভিযুক্ত রৌশনারা খাতুনও । তাঁরও দাবি, তিনি নির্দোষ । তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে ।
2017 সালে ভয়াবহ বন্যায় উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার অসংখ্য বাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় । আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও কয়েকশো বাড়ি ৷ রাজ্য সরকারের তরফে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য 70 হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য 3 হাজার 300 টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয় । ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের 7 হাজার 394 জনের নাম ছিল । কিন্তু অভিযোগ, এক্ষেত্রে প্রায় 76 লক্ষ টাকা উপভোক্তাদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতৃত্ব । এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয় ।
হাইকোর্ট অভিযুক্তদের গ্রেফতারির নির্দেশ হতেই গা ঢাকা দেন বরুই পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রৌশনারা খাতুন এবং এলাকার তৃণমূল নেতা তথা প্রাথমিক শিক্ষক আফসার হোসেন । সম্প্রতি তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করলে সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায় । উল্টে সুপ্রিম কোর্ট 14 দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় । 18 মার্চ হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন আফসার হোসেন । আজ একই পথে হেঁটেছেন এই বন্যাত্রাণ দুর্নীতিতে আরও এক অভিযুক্ত রৌশনারা খাতুনও ।