পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Cow Vaccine : এবার দুয়ারে ভ্যাকসিন ! তবে মানুষের নয় গরুর

আগামী 10- 15 দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন হাতে গোয়ালে পৌঁছে যাবেন প্রাণীবন্ধু-সহ প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা ৷ মানুষের না এবার গোরুর ভ্যাকসিন (Cow Vaccine)৷ খুরাই বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ মূলত দেখা যায় চেরা খুর থাকা প্রাণীদের মধ্যে । মূলবত গোরুরাই এই রোগে আক্রান্ত হয় ।

Cow Vaccine news
এবার গোরুর দুয়ারে ভ্যাকসিন

By

Published : Jun 3, 2022, 9:31 AM IST

মালদা, 3 জুন : দুয়ারে ভ্যাকসিন । মানুষের নয়, গরুর (Cow Vaccine)। আগামী 10-15 দিনের মধ্যেই ভ্যাকসিন হাতে গোয়ালে পৌঁছে যাবেন প্রাণীবন্ধু-সহ প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা । কারণ, এই মুহূর্তে জেলায় গবাদি পশুদের মধ্যে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ছড়াচ্ছে । সাধারণভাবে রোগটি খুরাই নামে পরিচিত । ভাইরাসঘটিত এই রোগে গরুর গর্ভপাত, দুধ প্রদানের ক্ষমতা কমে যাওয়া, এমনকী মৃত্যুও হতে পারে । তবে এই রোগে বয়স্ক গরুর থেকে মৃত্যুর হার বাছুরদের বেশি । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলার প্রায় ন’লাখ গরুকে বিনামূল্যে এই রোগের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ।

খুরাই বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ মূলত দেখা যায় চেরা খুর থাকা প্রাণীদের মধ্যে । মূলত গরুরাই এই রোগে আক্রান্ত হয় । এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় । মুখগহ্বর, মাড়ি, খুরের মধ্যে ঘা তৈরি হয় । মুখ থেকে লালা আর সাদা ফেনা ঝরতে থাকে । কিছুদিনের মধ্যেই গরু দুর্বল হয়ে পড়ে । গর্ভবতী গরুর গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । এমনকী মারাও যায় । সবচেয়ে বড় বিষয়, এই ভাইরাস খুব ছোঁয়াচে । একটি গোরু থেকে অন্য গরুর মধ্যে দ্রুত রোগের সংক্রমণ ছড়ায় । আরও চিন্তার, আক্রান্ত গরুর লালা, ঘায়ের রস, মলমুত্র, দুধ থেকেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় । এক গরু থেকে অন্য গোরুতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর দুধ খেলে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন :গরু হোক জাতীয় পশু, পরামর্শ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

মালদা জেলা প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর উৎপলকুমার কর্মকার বলেন, "প্রচলিত ভাষায় এই রোগটির নাম খুরিয়া । চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম এফএমডি । এই রোগে খুর ও মুখে ঘা হয় । এই রোগে আক্রান্ত হলে গবাদি পশুর দুধের উৎপাদন কমে যায় । গর্ভবতী গাভীর গর্ভপাত হতে পারে । সবচেয়ে বড় বিষয়, রোগের প্রকোপ বেশি হলে গোরুর মৃত্যুও হতে পারে । তবে বয়স্ক গরুর থেকে এই রোগে বাছুরের মৃত্যুর হার বেশি । এতে পশুপালকদের ক্ষতি । এটা ভাইরাসঘটিত রোগ । সম্প্রতি এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে । এই রোগ নির্মূল করতে একমাত্র ভ্যাকসিনেশন প্রয়োজন । তাই দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই জেলার প্রায় আট লাখ 80 হাজার গরুকে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে । অর্থাৎ জেলার প্রায় 80 শতাংশ গরুকে আমরা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসব । আগামী 10-15 দিনের মধ্যেই টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে । প্রাণীবন্ধু-সহ দফতরের অন্যান্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোরুকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন । ভ্যাকসিন নেওয়া গোরুর কানে ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হবে । ইতিমধ্যে জেলায় এই ভ্যাকসিন চলে এসেছে । এনিয়ে আমরা প্রচারও শুরু করে দিয়েছি ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details