মালদা, 15 জুলাই : বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী । সেই ঢেউয়ে আক্রান্ত হবে বহু মানুষ । বিশেষ করে শিশুরা বেশি সংক্রমিত হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা । সেকথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ । করোনা সংক্রমণে চিকিৎসার প্রধান উপাদান অক্সিজেন । দ্বিতীয় ঢেউ বুঝিয়ে দিয়েছে, অক্সিজেনের অভাব রয়েছে রাজ্য জুড়ে । তাই এবার সরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য । ইতিমধ্যে মালদা মেডিকেল ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেই প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে । এবার স্বাস্থ্য দফতরের নজর গ্রামীণ হাসপাতালগুলির দিকে । এই জেলায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রথম সেই প্ল্যান্ট বসছে । আগামী সপ্তাহ থেকেই ওই প্ল্যান্ট চালু হয়ে যাবে । সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্তা, এবং অবশ্যই স্থানীয় মানুষজন ।
করোনার তৃতীয় ধাক্কা সামাল দিতে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে 24 বেডের সেফ হোম । এবার সেখানে পাইপলাইনে প্রতিটি বেডে পৌঁছে দেওয়া হবে অক্সিজেন । ইতিমধ্যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে । চলে এসেছে সমস্ত যন্ত্র । জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ও বেঙ্গল অম্বুজার যৌথ উদ্যোগে এই প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে ।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা জেলার সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরেও অক্সিজেনের আকাল দেখা দিয়েছিল । রেড ভলান্টিয়ার্স, স্থানীয় কিছু ক্লাব কিংবা কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় ছিল অপর্যাপ্ত । তার সুযোগ নিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কালোবাজারিও হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রতিম শুকুল বলছেন, “দ্বিতীয় ঢেউয়ে এলাকার মানুষ অক্সিজেনের প্রবল সংকটে ভুগেছিল । কালোবাজারি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে একেকটি সিলিন্ডার এক থেকে দেড় লাখ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে । অক্সিজেন না পেয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে । এই অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কাজ চলছে । এলাকাবাসীর জন্য এটা স্বস্তির খবর । এর জন্য এলাকাবাসীর তরফে আমি রাজ্য সরকার ও জেলাশাসককে সাধুবাদ জানাচ্ছি ।”