মালদা, 1 নভেম্বর : লকডাউনে পরিবারের অন্ন সংস্থানের জন্য মহাজনের থেকে চড়া সুদে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন । সেই টাকা শোধ করার চাপে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় চন্দন মহালদারের । মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ছিল মোটা টাকার । সেই টাকা দিয়ে হিন্দু ভাইয়ের দেহ ফিরিয়ে আনতে সহায় হলেন এলাকার হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ই । এমনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষী থাকল মালদার হরিশচন্দ্রপুর ৷
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা চন্দন মহালদার । বছর দুয়েক আগে আর্থিক অভাবের কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা যান তাঁর বাবা অর্জুন মহালদার । সেই সময় সংসারের খরচ টানতে চন্দনের পাশাপাশি মা সারথি মহালদার সবজি বিক্রির কাজ শুরু করেন । চন্দনের স্ত্রী গৃহবধূ । তাঁদের রয়েছে তিন ছেলেমেয়ে । লকডাউনে সংসারের খরচের জন্য মহাজনের থেকে মোটা সুদে টাকা ঋণ নেন চন্দন । সেই টাকা শোধ করতে দেরি হওয়ায় মহাজনের থেকে চাপ আসতে থাকায় ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ঋণ শোধ করার সিদ্ধান্ত নেন চন্দন ।
আরও পড়ুন :Durga Puja: মুসলিম জমিদার প্রবর্তিত দুর্গাপুজোয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা
কিন্তু বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় চন্দনের । স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় সেখানেই ময়নাতদন্ত হয় । কিন্তু এরপর চন্দনের মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে সমস্যায় পড়েন পরিবারের লোকজন । সেখান থেকে বাড়ি ফেরাতে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া হয় 90 হাজার টাকা । এত টাকা কী করে জোগাড় করবে অভাবী পরিবার ?