মালদা, 30 এপ্রিল : সকাল 10টা ৷ প্রতিদিনের মতো জেলা প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে শুরু করেছেন কর্মীরা ৷ সবার নজরে প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটের সামনে তৈরি স্যানিটাইজ়েশন টানেল ৷ এর আগে কলকাতাসহ কিছু জেলায় এই ব্যবস্থা চালু হলেও মালদায় প্রথম ৷ কোরোনা আবহে অফিসে ঢোকার সময় এই ব্যবস্থা এখানে চালু হলে তা ভালোই হবে বলে আলোচনাও চলছিল কর্মীদের মধ্যে ৷ তাল কাটে কিছুক্ষণ পরেই ৷ অফিসে ঢোকার মুখে এই ব্যবস্থা নজরে পড়ে জেলাশাসকের ৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশ দেন সেখানে থাকা কর্মীদের ৷ প্রশাসনিক প্রধানের নির্দেশ পেয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্য়ানিটাইজ়েশন টানেল ৷ এনিয়ে প্রশাসনের অন্দরমহলে প্রশ্ন উঠলেও জেলাশাসক কোনও মন্তব্য করেননি ৷ তবে জানা যাচ্ছে, কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তিনি আপাতত এই ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷
কোরোনা মোকাবিলায় কলকাতার বাজারে স্যানিটাইজ়েশন টানেল চালু করেছেন পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে রাজ্যের আরও কিছু জেলায় ৷ কিন্তু মালদায় তা এখনও চালু হয়নি ৷ প্রশাসনিক ভবনসহ অন্য সরকারি দপ্তরগুলিতে ঢোকার সময় তাঁর হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হচ্ছে ৷ এই কাজের জন্য কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এই অবস্থায় গতকাল সন্ধেয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে তৈরি করা হয় এমনই একটি টানেল ৷ কথা ছিল, আজ থেকে কর্মী কিংবা প্রয়োজনে আসা লোকজন এই টানেলের মধ্যে দিয়ে যাবেন ৷ সেখানে সবার দেহ বিশেষ জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ় করা হবে ৷ কিন্তু জেলাশাসকের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এই প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷