Deotala Gram Panchayat: দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রাণনাশের আশঙ্কায় তৃণমূল নেতা

দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের যুব নেতা ৷ শুধু তাই নয়, তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন (Allegations of Corruption Against Deotala Gram Panchayat) ৷ এমনই অভিযোগ, গাজোল ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দানিয়াল হোসেনের ।

মালদা, 15 জুলাই: প্রশাসনের কাছে দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের যুব নেতা । তিনি দাবি করেছেন, ইতিমধ্যে খুনের হুমকি পেতে শুরু করেছেন তিনি (Allegations of Corruption Against Deotala Gram Panchayat)। এই পরিস্থিতিতে তিনি পুলিশি নিরাপত্তার আর্জি জানাচ্ছেন । যদিও নিরাপত্তার দাবিতে এখনও পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হননি তিনি । তবে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান । ঘটনাটি গাজোলের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরদিঘি গ্রামের।

পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রশাসনের একাধিক মহলে অভিযোগ জানিয়েছেন গাজোল ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দানিয়াল হোসেন । তিনি জানান, ভোরদিঘি গ্রামে আমার বাবা আফাজুদ্দিন আহমেদ ও ঠাকুমা গফুরান বেওয়ার নামে জমি রয়েছে । ওই জমিতে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর ও শ্মশান নির্মাণের স্কিম ধরা হয়েছে । সেখানে এক কোদাল মাটি কাটা না-হলেও ভুয়ো মাস্টার রোলের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে । এর প্রতিবাদে আমি জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক, পুলিশ সুপার, বিডিও, থানা, পঞ্চায়েত প্রধান এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি ।

তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল পরিচালিত দেওতলা পঞ্চায়েতে লাগামহীন লুটতরাজ চলছে । তার নেতৃত্বে এনএস সাবির আলম । তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে সুপারভাইজার-সহ দফতরের কর্মীদের একাংশ । আমি এই পঞ্চায়েতে আট কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি । দিদি বলেছেন, সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি হলে যেন অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু সেই অভিযোগ জানিয়ে আমি এখন প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছি । তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে । যে কোনও সময় আমি খুন হয়ে যেতে পারি । প্রশাসনের কাছে আমি নিরাপত্তার আর্জি জানাচ্ছি ।"

এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান দেওতলা পঞ্চায়েতের প্রধান সুলতানা রাজিয়া । তিনি বলেন, "ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মিটিং ডাকা হয়েছে । ওই এলাকায় কোনও কাজ করা হয়েছে কি না, তার খোঁজখবর নেব । ব্যস্ততার জন্য আমি এতদিন এ নিয়ে খোঁজ নিতে পারিনি । কাজ হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই ।" কিন্তু কোনও কাজ না করে কীভাবে টাকা তুলে নেওয়া হল, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান ।