মালদা, 19 জুন : চাঁচলের কাণ্ডারণের পর হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা ৷ সরষের তেলে পাম তেল মেশানো হচ্ছে এমন খবর পেয়ে হানা দিল চাঁচল মহকুমা প্রশাসন ৷ সরষের তেলের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর গুদামে তল্লাশি চালিয়ে মিলল তেল মিশ্রণের যাবতীয় প্রমাণ ৷ যদিও ওই ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন আগে তিনি এই অবৈধ কাজ করলেও এখন সেসব ছেড়ে দিয়েছেন ৷ তাঁর কথায় অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি ৷ দুটি যন্ত্রসহ একাধিক সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে ৷ মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, এনিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷
শুক্রবার দুপুরে ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য ও সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তুলসিহাটার সরষের তেলের পাইকারি ব্যবসায়ী দিলীপ আগরওয়ালের গুদামে হানা দেন চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল ৷ সঙ্গে ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশও ৷ ওই গুদামে মজুত করা ছিল প্রচুর পরিমাণ সরষের তেল ৷ ছিল পাম তেলও ৷ মহকুমাশাসক জানতে পেরেছিলেন, এই গুদামে সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো হয় ৷ যা বর্তমানে নিষিদ্ধ ৷ গুদামে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান প্রশাসনিক কর্তারা ৷ সরষের তেলে পাম তেলের উপস্থিতিও পাওয়া যায় ৷ আরও পাওয়া যায় দুটি তেল মিশ্রণের যন্ত্র, নামিদামি কোম্পানির সরষের তেলের লেবেলসহ আরও অনেক কিছু ৷ সেখানে থাকা সরষের তেলের প্যাকেটে বার কোড দেওয়া থাকলেও তা স্ক্যান করা যায়নি ৷
তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, এই সময় কেউ সরষের তেল মজুত রাখতে পারে না ৷ কিন্তু গুদামে প্রচুর পরিমাণ সরষের তেল মজুত করা ছিল ৷ মহকুমাশাসকের কাছে দিলীপ আগরওয়ালা স্বীকার করে নেন, তিনি আগে সরষের তেলে পাম তেল মেশাতেন ৷ তবে এখন সেসব করেন না ৷ দিলীপ আগরওয়াল বলেন,"অফিসাররা এসে সমস্ত কিছু দেখলেন ৷ আমার কারখানায় ব্লেন্ডিং হত ৷ তার লাইসেন্সও ছিল ৷ তবে কারখানা অনেকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ৷ পাইপলাইনে কিছু তেল জমে ছিল সেগুলোই অফিসাররা দেখেছেন ৷ তেলের প্যাকেটের বার কোড স্ক্যান কেন হচ্ছে না তা নিয়ে আমি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলব ৷"