মালদা, 25 এপ্রিল : ফের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এলাকার বেকার যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, স্থানীয় ডুমুরতলির বাসিন্দা তৈমুর রহমানের বিরুদ্ধে (Allegation of TMC leader involvement in primary teacher job scam at Malda) । তিনি শাসকদলের প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক । এই কাজে তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই মহিলা তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধেও । যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৈমুর সাহেব । এক্ষেত্রে প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থার নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শাসকদলের রাজ্যনেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি ।
অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকারই কৃষ্ণ মহালদার ও বিষ্ণু মহালদার নামে দুই যুবকের কাছ থেকে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন স্থানীয় দুই মহিলা তৃণমূলকর্মী নিভা মহরি ও উৎপলা পাসোয়ান । দুই যুবকই এলাকার নামকরা দৌড়বিদ । খেলোয়াড়ের কোটায় তাঁদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল । দুই মহিলা সেই টাকা তৈমুর রহমানের হাতে তুলে দেন বলে তাঁদের দাবি । কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও ওই দুই যুবক চাকরি না পাওয়ায় তাঁরা প্রথমে দুই মহিলা তৃণমূলকর্মী, পরে তৈমুর সাহেবের কাছে টাকা ফেরত চান । এনিয়ে পুলিশে তাঁরা অভিযোগও জানান । দুই যুবকের দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতে তৈমুর সাহেব টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন । কিন্তু তিন লক্ষ 10 হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার পর তিনি আর টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন । এরপর টাকা চাইতে গেলেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই দুই যুবক (Primary Teacher Job Scam) ।
আরও পড়ুন:Body Recovered From Ganga : 3 দিন নিখোঁজ থাকার পর গঙ্গা থেকে উদ্ধার মালদার শিক্ষকের দেহ
প্রতারিত বিষ্ণু মহালদার বলেন, "বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের খুব কষ্টে সংসার চলছে । আমরা দুই ভাই খেলাধুলো করি । বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দৌড়ে পদকও পেয়েছি । প্লেয়ার কোটায় প্রাইমারির চাকরি করে দেওয়া হবে বলে দুই মহিলা তৃণমূলকর্মী নিভা মহরি ও উৎপলা পাসোয়ান আমাদের কাছে সাড়ে ছ’লাখ টাকা দাবি করে । আমরা নিজেদের একটি পুকুর বিক্রি করে সেই টাকা তাঁদের হাতে তুলে দিই । সেই টাকা তাঁরা নাকি স্থানীয় তৃণমূল নেতা তৈমুর রহমানের হাতে তুলে দেন । দীর্ঘদিন পরেও চাকরি না হওয়ায় আমরা সেই টাকা ফেরত চাই । এনিয়ে থানায় বিচারও হয় । থানায় তাঁরা তিনজন টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছিলেন । আমাদের তিন লক্ষ 10 হাজার টাকা ফেরত দেন তাঁরা । কিন্তু আর কোনও টাকা তাঁরা ফেরত দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন । আমরা গরিব মানুষ । আমরা সরকারের কাছে উপযুক্ত বিচার পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।"