মালদা, 31 অক্টোবর: ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ মালদা মেডিক্যালে। পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পর প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। মৃত প্রসূতির নাম টুলি খাতুন (29)। বাড়ি বামনগোলার থানার পাকুয়াহাটের সালালপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
মৃত মহিলার দিদি আসমা বিবির অভিযোগ, "সোমবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বোনকে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করা হয়েছিল। বোন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই বোনের রক্তপাত শুরু হয়। চিকিৎসকরা জরায়ু বাদ দেওয়ার কথা বলেন। তাও করা হয়। তারপর বোনকে দেওয়ার জন্য চার বোতল রক্ত জোগাড় করে দেওয়া হয়। কিন্তু বোনের শারীরিক অবস্থার কথা আমাদের জানানো হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে পারি, বোনের মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণেই বোনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ওই চিকিৎসকের শাস্তির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দাবি জানাচ্ছি।"
মেডিক্যাল সুপার সূরঞ্জয় সাহা বলেন, "এনিয়ে পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ওই প্রসূতির রক্তপাত বন্ধ হচ্ছিল না। চিকিৎসকরা সমস্তরকম চেষ্টা করেও ওই মহিলাকে বাঁচাতে পারেননি। এধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকরা স্পেশালিস্ট চিকিৎসকদের নিয়ে ঘটনার তদন্ত করেন।"
আরও পড়ুন: ধান ক্ষেতের পাশে উদ্ধার সদ্যোজাত কন্যার দেহ!
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই মালদা মেডিক্যালের সার্জিক্যাল বিভাগে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও মেডিক্যালে কর্তৃপক্ষের তরফে সেই সময়েও দাবি করা হয়েছিল, ঘটনায় পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সেই ঘটনার 48 ঘণ্টার মধ্যেই ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে মেডিক্যাল পরিষেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শোকের ছায়া মৃত টুলি খাতুনের পরিবারে ৷