মালদা, 13 জানুয়ারি : চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল রতুয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দলেরই এক কর্মী ৷ ওই নেতা আবার জেলা পরিষদের সদস্য ৷ টাকা ফেরতের দাবিতে গতকাল রতুয়ার ভাদো এলাকায় ওই নেতাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন বাসিন্দা ৷ সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরাও ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরত চাওয়ায় নেতার লোকজন এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ এদিকে রাস্তায় তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে দাবি করে ওই নেতাও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি ৷
অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে, গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করে দেওয়ার নামে বছর দুয়েক আগে ওই তৃণমূল নেতা অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন ৷ সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ৩০ লাখের উপর ৷ চাকরিপ্রার্থীরা সবাই দলের কর্মী কিংবা তাঁদের আত্মীয় ৷ কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও চাকরি না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকেন ৷ কিন্তু হুমায়ুন কবীর তাঁদের দিনের পর দিন ঘোরাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ আজ তাঁর বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে যান জুবাইর আহমেদ নামে দলেরই এক কর্মী ৷ সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইতেই ওই নেতা ও তাঁর ছেলে জুবাইরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ৷ এমনকী বন্দুক দেখিয়ে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন :85 হাজার টাকার জালনোট ও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চাঁচলে গ্রেপ্তার 3
জুবাইর বলেন, “দু’বছর আগে হুমায়ুন কবীরকে চাকরির নামে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু তিনি কাউকে চাকরি করে দিতে পারেননি ৷ গত দু’তিন মাস ধরে আমরা টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁর কাছে ঘুরছি ৷ আজ তিনি টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন ৷ আমরা কয়েকজন তাঁর বাড়িতে টাকা চাইতে যাই ৷ টাকা চাইতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হয় ৷ অস্ত্রের আঘাত আটকাতে গিয়ে আমার হাত কেটে যায় ৷ আমাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে হুমায়ুনের ছেলে নাসিম আখতার আমাদের পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয় ৷ স্থানীয়দের তৎপরতায় আমরা বেঁচে গিয়েছি৷”