মালদা, 2 সেপ্টেম্বর: চাকরি দেওয়ার নাম করে 17 লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন খোদ সরকারি আইনজীবী (Malda Fraud Allegation)৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচলে ৷ এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত ৷ অভিযোগ জানানো হয়েছে চাঁচল মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনেও ৷ এই খবর করতে গিয়ে অভিযুক্তের পরিচিত কিছু জুনিয়র আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের উপর চড়াও হন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধেও চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত সাংবাদিকরা (Allegation of fraud against government lawyer)৷
প্রতারিত ব্যক্তির নাম আসিরুদ্দিন ৷ বাড়ি চাঁচলের শীতলপুর এলাকায় ৷ তাঁর অভিযোগ, "মোত্তাসির আলম নামে প্রতারক চাঁচল মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী ৷ চার বছর আগে সে আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় 17 লাখ টাকা নেয় ৷ বলেছিল, ওর সঙ্গে তৎকালীন চাঁচল আদালতের সরকারি আইনজীবী অম্লান ভাদুড়ির ভালো সম্পর্ক ৷ শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত তাদের চেন রয়েছে ৷ সে একাধিক মানুষের চাকরি করে দিয়েছে ৷ মোত্তাসির বলেছিল, আমার ছেলে ও মেয়েকে চাঁচল কোর্টে গ্রুপ সি পদে চাকরি করে দেবে ৷ আর স্ত্রীকে বিডিও অফিসে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেবে ৷ বিভিন্ন জায়গায় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সে ৷ এমনকি পিপি অফিসেও ৷ তবে যখন টাকা নিত, তখন সবাইকে সে সরিয়ে দিত ৷ আমি জমি বিক্রি করে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ওকে টাকা দিয়েছিলাম ৷ এই চার বছরে ও আমাকে অনেক ভুয়ো নথি পাঠিয়েছে ৷ গতকাল পোস্টের মাধ্যমে বাড়িতে তিনটি নিয়োগপত্রও আসে ৷ পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখি, প্রতিটি নিয়োগপত্রই ভুয়ো ৷ ওকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বলছে, সে এসব পাঠায়নি ৷ আমি মোত্তাসিরের নামে চাঁচল থানা ও চাঁচল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ টাকা ফেরতের সঙ্গে আমি ওর শাস্তি চাই ৷"