ফরাক্কা থেকে ভারত জোড়ো যাত্রায় অধীর মালদা, 16 জানুয়ারি: "কয়লা চুরির থেকে বড় চুরি হচ্ছে পাথর চুরি ৷ আর সেই চুরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে ৷" মালদায় ভারত জোড়ো যাত্রায় এসে এমনই অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury) ৷ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গিরগিটির সঙ্গেও তুলনা করেছেন ৷ সোমবার সকালে ফরাক্কা থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেন অধীর ৷ বিকেলের দিকে মালদায় প্রবেশ করেন তিনি ৷ কালিয়াচকে এসে এদিনের মতো এই পদযাত্রা শেষ হয় ৷ মঙ্গলবার ফের কালিয়াচক থেকে মালদা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ভারত জোড়ো যাত্রা ৷
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর গিরগিটির মধ্যে কোনও ফারাক নেই ৷ উনি কখন গাল দেবেন, কখন ভালো বলবেন তা শুধুমাত্র তিনি জানেন আর ওপরওয়ালা জানেন ৷" কটাক্ষের সুরে অধীর এদিন আরও বলেন, "অরিজিৎ সিং মুর্শিদাবাদের ছেলে ৷ আমাদের সামনে থেকেই ও বড় হয়েছে ৷ আমরা অনেক অনুষ্ঠানে ডাকতাম ৷ সেই ছেলেকে অপমান করে কলকাতায় তার অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি ৷ এর প্রতিবাদে সংস্কৃতিমনষ্ক মানুষ সোচ্চার হয়েছিল ৷" অধীরের মতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই মুর্শিদাবাদে এসে এদিন অরিজিৎ সিংয়ের নামে ভালো ভালো কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Adhir Chowdhury slams Mamata Banerjee) ৷
আরও পড়ুন: জঙ্গিপুরে মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অরিজিতের প্রস্তাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর
ভারত জোড়ো যাত্রাকে সমর্থন করে এরাজ্যে সাগর থেকে পাহাড় পর্যন্ত যে পদযাত্রার আয়োজন করেছে কংগ্রেস, তাতে ভালো সাড়া মিলেছে বলেও দাবি অধীরের ৷ এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী ৷ তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছেন, দিনের পর দিন মোদি আর দিদির সম্পর্ক ঘনিষ্ট হচ্ছে ৷ আবার ভোট আসার আগে নাগরিক আইন আসবে, এনআরসি আসবে ৷ কারণ, পশ্চিমবঙ্গে মোদির ভোট চাওয়ার অন্য কোনও ইস্যু নেই ৷ দিদিরও কোনও রাজনৈতিক হাতিয়ার নেই ৷ তৃণমূল এখন মানুষের চোখে চোরেদের দল বলে পরিচিত হয়েছে ৷ বিজেপি যেমন দেশকে কিছু দিতে পারেনি, তেমনই তৃণমূল রাজ্যকে কিছু দিতে পারেনি ৷ রাজ্যে কংগ্রেসের জয়যাত্রা শুরু হবে বলেও আশাবাদী তিনি ৷
মালদা কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল, কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে সেই গড়ে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল ৷ এ প্রসঙ্গে অধীরের বক্তব্য, "গত বছর ভোট হয়নি, সাম্প্রদায়িক নির্বাচন হয়েছিল ৷ বিজেপি হিন্দু-হিন্দু করেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলমান-মুসলমান করেছিলেন ৷ হিন্দুদের মনে হয়েছিল তৃণমূলের এই রাজনীতি রুখতে বিজেপিকে ভোট দেওয়া দরকার ৷ ঠিক তেমনই মুসলিমদের তৃণমূলকে ভোট দেওয়া দরকার বলে মনে হয়েছিল ৷ কিন্তু আর মানুষ সেই ভুল করবে না ৷"