মালদা, 2 জুন : কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মালদার দুই শ্রমিকের ৷ আহত হয়েছেন আরও ছ’জন ৷ গতকাল ভোরে মন্দির সংলগ্ন একটি বাড়ি ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ দুপুর থেকে দফায় দফায় মৃত ও আহতদের বাড়িতে গিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার মৃত ও আহতদের বাড়িতে আসার কথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঐতিহাসিক বিশ্বনাথ মন্দির সংস্কারের কাজে দিন পনেরো আগে মালদার প্রায় 300 শ্রমিক বেনারস যান ৷ এর মধ্যে প্রায় 250 জন শ্রমিক ছিলেন কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের আলিপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহী এলাকার ৷ বেশিরভাগ শ্রমিকই মন্দির সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়িতে থাকতেন ৷ গতকাল রাত প্রায় দুটো পর্যন্ত মন্দিরের কাজ চলে ৷ তারপর শ্রমিকরা নিজেদের আস্তানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ৷ ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মন্দির সংলগ্ন একটি প্রাচীন বাড়ি ভেঙে পড়ে ৷ তার নীচে চাপা পড়ে যান আট জন শ্রমিক ৷ সেখানেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয় ৷ মৃতরা হলেন এবাদুল মোমিন (30) ও আমিনুল মোমিন (40)৷ দুজনের বাড়ি শেরশাহী এলাকার মহেশপুর ও রাণুচক গোঁসাইপাড়া গ্রামে ৷ আহত হয়েছেন আরিফ মোমিন , এমরান মোমিন , সৈয়দ আখতার , হাকিম খান , আরিফ মোমিন এবং আবদুল জব্বার ৷ নিহত ও আহতদের মধ্যে শুধুমাত্র জব্বার ছাড়া বাকি সকলেই শেরশাহীর বাসিন্দা ৷ জব্বারের বাড়ি ইংরেজবাজারের কাটাগড় এলাকার নরেন্দ্রপুর গ্রামে ৷ আহতরা বর্তমানে বেনারসের কবিরচূড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছোতেই শোরগোল পড়ে যায় ৷ তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসনেরও ৷ গতকাল বিকেলে নিহত ও আহতদের বাড়ি যান কালিয়াচক এক নম্বরের বিডিও সেলিম হাবিব সরদার ৷ তিনি বলেন, “নিহত ও আহতদের সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সরকারি সহায়তা পায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ দুটি ফিরিয়ে আনা হবে ৷ সমস্ত রিপোর্ট জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে ৷" গতকাল দুপুর থেকে ওই গ্রামে রয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামিজুদ্দিন আহমেদ ৷ তিনিও দলীয় স্তরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷