মালদা, 27 অগস্ট : পণের টাকা না দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল পাত্রপক্ষ ৷ সেই থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার 14নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিনিকা ঘোষ ৷ বৃহস্পতিবার রাতে সেই মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হলেন তিনি ৷ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ পরিবারের তরফে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ এ নিয়ে দায়ের করা হয়নি ৷ তবে, পুলিশের তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এবছর নভেম্বর মাসে গাজোলের আদিনার বাসিন্দা বাপন ঘোষের সঙ্গে পুরাতন মালদা পৌরসভার 14নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষের ছোট মেয়ে রিনিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল ৷ অভিযোগ বাপন ঘোষের বাড়ি থেকে পণ হিসেবে 3 লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল ৷ সেই সঙ্গে 3 ভরি সোনার গয়নার দাবিও করা হয়েছিল ৷ সঞ্জয় ঘোষ সেই দাবি মেনে নিয়েছিলেন ৷ এমনকি অগ্রিম 90 হাজার টাকা তারা আগেই নিয়েছিল ৷ কিন্তু, কয়েকমাস আগে ছেলের বাড়ি থেকে বাকি টাকাও অগ্রিম চাওয়া হয় ৷ কিন্তু, এত দ্রুত সেই টাকা জোগাড় করতে না পারায় বাপন ঘোষ এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ে ভেঙে দেয় ৷ অগ্রিম নেওয়া 90 হাজার টাকা ফিরিয়েও দিয়েছিল তারা ৷