মালদা , 7 এপ্রিল : যত দিন যাচ্ছে ছড়াচ্ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে ৷ সেকারণে সাধারণ মানুষকে লকডাউন মানাতে আরও কড়া হচ্ছে জেলা পুলিশ ৷ বাজার-হাটে ভিড় কমাতে নেওয়া হচ্ছে কড়া পদক্ষেপ ৷ অকারণে বাড়ি থেকে বেরোনো মানুষজনকে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে ৷ আজ একথা বলেন মালদা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ তিনি বলেন, কোরোনা মোকাবিলায় তাঁরা সবরকম চেষ্টা করছেন ৷ জেলার বাইরে থেকে আসা মানুষজনের উপর কড়া নজরদারি চলছে ৷ ইতিমধ্যে লুকিয়ে জেলায় ঢোকার চেষ্টায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে ৷ গত কয়েকদিনে গোটা জেলায় প্রায় 80 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ যেভাবেই হোক, কোরোনা ভাইরাসের হামলা ঠেকাতে তাঁরা বদ্ধপরিকর ৷
মালদায় গত 3 দিনে লকডাউনে গ্রেপ্তার 80 - লকডাউন কঠোর জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রায় 80 জন।
অকারণে বাড়ি থেকে বেরোনো মানুষজনকে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে ৷ আজ একথা বলেন মালদা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ গত কয়েকদিনে গোটা জেলায় প্রায় 80 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ যেভাবেই হোক, কোরোনা ভাইরাসের হামলা ঠেকাতে তাঁরা বদ্ধপরিকর ৷
কোরোনা সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন ৷ কিন্তু নিজা়মউদ্দিনের জামাত মহাসভা সেই চেষ্টাকে অনেকটাই ব্যর্থ করেছে ৷ এই মুহূর্তে গোটা দেশে সংক্রমিত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ ৷ মৃত্যু হয়েছে 100 জনেরও বেশি ৷ এই রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ সংক্রমণ রুখতে নিজেদের গৃহবন্দী রাখাই যে সবচেয়ে ভালো উপায়, তা মেনে নিয়েছে গোটা বিশ্ব ৷ কিন্তু তবুও যেন সাধারণ মানুষের কোনও হেলদোল নেই ৷ মালদা জেলা জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় দেখা যাচ্ছে কাজ না থাকা মানুষকে ৷ সকালে বাজার-হাটে উপচে পড়ছে ভিড় ৷ এনিয়ে প্রথম থেকেই মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা ৷ কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না ৷ তাই গত কয়েকদিন থেকে কড়া হয়েছে পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর , গত কয়েকদিনে গোটা জেলায় প্রায় 80 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে জেলার বাইরে থেকে লুকিয়ে ঘরে ফিরতে চাওয়া বেশ কয়েকজন ৷ পুলিশের এই কড়াকড়ি আরও বাড়বে বলেই জানা গেছে ৷
আজ পুলিশ সুপার বলেন, " লকডাউনকে সফল করার জন্য আমরা অনেকটাই মানুষের উপর ভরসা করেছিলাম ৷ কিছু মানুষ নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখলেও গত দু’একদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, মানুষ নিষ্প্রোয়জনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছে ৷ রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে ৷ তাই আমরা কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি ৷ এই সমস্ত মানুষজনকে আমরা এবার গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছি ৷ তার সঙ্গে পুলিশের সচেতনতা কর্মসূচি চলছে ৷ রাস্তায় কোরোনা নিয়ে প্রচার যেমন চলছে, তেমনই প্রচার চলছে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমেও ৷ তবে এখনও পর্যন্ত জেলায় লকডাউন সন্তোষজনক রয়েছে বলেই মনে করছি ৷ আমাদের একটাই লক্ষ্য, যে কোনও উপায়ে কোরোনার হামলা প্রতিহত করা ৷ "