মালদা, 30 এপ্রিল: স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির তিন সদস্যকে কুড়ুল দিয়ে কোপানোর ঘটনায় 18 ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে ৷ মালদার ইংরেজবাজারের কমলাবাড়ি বাধাপুকুর এলাকার ঘটনায় এখনও থমথমে এলাকার পরিবেশ ৷ বাড়িতে কখনও পুলিশ, কখনও সংবাদমাধ্যম, আবার কখনও পরিজনদের আনাগোনা ৷ আর এসবের মধ্যে এখনও আতঙ্কে পাঁচ বছরের প্রিয়াঙ্কা ৷ গতকাল বাবার নৃশংস রূপ দেখেছে সে ৷ সেই আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ছোট্ট শিশুটি ৷ তবে, এই ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন প্রতিবেশী এবং পরিবারের লোকজন ৷
গতকাল রাত 8টা নাগাদ দুই বন্ধুর সঙ্গে বাইকে করে শ্বশুরবাড়িতে আসেন টুবাই মণ্ডল ৷ এরপর বাড়িতে ঢুকে ভিতর থেকে তালা মেরে দেন টুবাই ৷ সেই সময় বাড়িতে ছিলেন টুবাইয়ের স্ত্রী নির্মলা মণ্ডল, নির্মলাদেবীর ভাইয়ের স্ত্রী দীপ্তি এবং তাঁর দিদির মেয়ে লক্ষ্মী ৷ টুবাই স্ত্রী নির্মলাকে কুড়ুল দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ ৷ আর তাঁকে আটকাতে গিয়ে দিপ্তী এবং লক্ষ্মীর মৃত্যু হয় ৷ জানা গিয়েছে দীপ্তি 6 মাসের গর্ভবতী ছিলেন ৷ নির্মলা মণ্ডল বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ ঘটনার সময় পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে টুবাই মণ্ডলেরও ৷
আর এই পুরো ঘটনার সাক্ষী 5 বছরের ছোট্ট প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল ৷ প্রিয়াঙ্কা মৃত টুবাই এবং নির্মলার মেয়ে ৷ বাবার এই নৃশংস হত্যালীলা সে খাটের তলা থেকে লুকিয়ে দেখেছে ৷ যে ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত একরত্তি ৷ কোনও কথা বলছে না সে ৷ এই ঘটনায় পুলিশকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা ৷ প্রতিবেশী উত্তম সিংহ জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ টুবাই সেখানে যান ৷ ঘরে ঢুকেই দরজায় তালা মেরে দেন তিনি ৷ সেই সময় বাড়িতে সবাই টিভি দেখছিল ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, ভিতরে ঢুকেই কুড়ুল দিয়ে কোপ মারতে শুরু করেন টুবাই মণ্ডল ৷