মালদা, 7 জানুয়ারি : করোনা থাবা বসাচ্ছে জেলা প্রশাসনেও । ইতিমধ্যে জেলাশাসক, একাধিক অতিরিক্ত জেলাশাসক, মালদা রেঞ্জের ডিআইজি-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা করোনা সংক্রমিত । ভাইরাসের হানায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে । এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল মালদা জেলা পরিষদও । একইসঙ্গে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন জেলা পরিষদের ৩১ জন কর্মী (31 workers of Malda zilla parishad found corona positive)। খবর অনুযায়ী তাঁদের সংস্পর্শে আসা আরও অনেকের মধ্যেই করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে ।
এই পরিস্থিতিতে নিতান্ত জরুরি কাজ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদেরও জেলা পরিষদ ভবনে আসতে বারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ শুক্রবারও অফিসে এসেছিলেন হাতেগোনা দু’-চারজন কর্মীই ৷ যদিও জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ বারিকের দাবি, করোনার প্রকোপে কাজকর্মে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও জেলা পরিষদ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়নি । অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়েই দফতরের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানো হচ্ছে ।
একইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত 31 জন কর্মী, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের জন্যও নিষেধাজ্ঞা জারি করল মালদা জেলা পরিষদ অন্য়দিকে মালদা জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন মিশ্র বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে গোটা দেশের সঙ্গে আমাদের রাজ্যেও করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে । গত পরশু মালদা জেলা পরিষদের কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানো হয় । গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের কাছে খবর আসে, তাঁদের মধ্যে ৩১ জন করোনা সংক্রমিত । করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আমাদের জেলা পরিষদ ভবনে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । জরুরি প্রয়োজনে জেলা পরিষদের কর্তাদের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে কাজ করানো যেতে পারে । কোনও কারণে কাউকে জেলা পরিষদে যেতে হলে প্রত্যেককে নির্দিষ্ট বিধি মেনেই সেখানে যেতে হবে।”
আরও পড়ুন :পুরুলিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 550 পার, আতঙ্কে জেলাবাসী
এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কিছু জানাতে রাজি হননি জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ বারিক । তবে তিনি জানান, জেলা পরিষদের ৩১ জন কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্মে কিছুটা প্রভাব অবশ্যই পড়েছে । তবে যেসব কর্মী এখনও সংক্রমিত হননি, তাঁদের দফতরে আসার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে । তাঁদের মাধ্যমেই জেলা পরিষদের স্বাভাবিক কাজকর্ম বহাল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা ।