মালদা, 16 নভেম্বর : শেষ পর্যন্ত ঐতিহ্যের কাছে থমকে গেল ভাইরাসের আতঙ্ক ৷ কোরোনা আবহেও অনুষ্ঠিত হল উত্তর মালদার বিখ্যাত কালীদৌড় ৷ প্রশাসন এবার এই দৌড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গতকাল রাতে মানুষের আবেগের কাছে হার মানতে হয়েছে পুলিশকে ৷ এবার মাত্র 11 টি প্রতিমা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৷ তবে দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷
কোরোনা সংক্রমণের জেরে এবার যে কোনও ধরনের সামাজিক উৎসবে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ সেই সূত্রে এবার কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে চাঁচল মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও পুজো মণ্ডপেই ভক্তদের ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না ৷ যেসব পুজোয় বলিপ্রথা চালু রয়েছে, সেই পুজোগুলিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে পশু নিয়ে ভক্তদের বলির জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ৷ কেউ হাড়িকাঠের কাছে যেতে পারবে না ৷ পুজো কমিটির লোকজনই পশুবলির ব্যবস্থা করবে ৷ যেসব জায়গায় বেশি সংখ্যক বলি হয়, সেখানে একাধিক হাড়িকাঠ ব্যবহার করতে হবে ৷ পুজো উপলক্ষে কোথাও কোনও মেলার আয়োজন করা যাবে না ৷ মালতীপুরের বিখ্যাত কালীদৌড়েও এবার রাশ টানে প্রশাসন ৷ দু’দিন আগেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, এবার কালীদৌড়ে মানুষকে জমায়েত হতে দেওয়া যাবে না ৷ শুধু পুরোনো প্রথা মেনে প্রতিমা নিয়ে দৌড়ের অনুমতি দেওয়া হবে ৷ মাত্র চারজন দৌড়ে অংশ নিতে পারবে ৷ দৌড়ের পরেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে ৷ এককথায়, এবার কালীদৌড় বন্ধ রাখতে সবরকম চেষ্টা করেছিল পুলিশ ও প্রশাসন ৷