মালদা, 3 অগস্ট : পড়শি যুবকের লালসার শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (Girl Raped) ! খুনের হুমকি দেওয়ায় সে প্রথমে কারওকে এ কথা জানায়নি ৷ তবে কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গোটা ঘটনা সামনে আসে ৷ অভিযোগ, থানায় যেতে গেলে মেয়েটির পরিবারকে বাধা দেন এলাকার মাতব্বররা ৷ সালিশির মাধ্যমে এই ঘটনার নিষ্পত্তি হবে বলে নিদান দেন তাঁরা ৷ যদিও সেটা ছিল শুধুই কথার কথা ৷ অবশেষে সব চাপ উপেক্ষা করে থানায় অভিযোগ জানান নিগৃহীতা কিশোরীর মা ৷ অভিযুক্ত যুবক পলাতক ৷
মালদার (Malda Rape) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের ঘটনা । ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা ভ্যানচালক । মা গৃহবধূ । ভাঙাচোরা ঘরে দিন গুজরান । বছর 16-র কিশোরীটি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত 21 ফেব্রুয়ারি । অভিযুক্ত যুবক তাদেরই প্রতিবেশী । সে দিন নাকি ছেলেটির দিদি ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে নিজেদের বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন । প্রতিবেশী হওয়ায় ওই বাড়িতে মেয়েটির যাতায়াত ছিল । তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে দিদার বাড়ি চলে যায় ছেলেটির দিদি । কিশোরী জানত না যে, সেই সময় ছেলেটি পাশের ঘরেই রয়েছে । দিদি বেরিয়ে যাওয়ার পর ছেলেটি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মেয়েটিকে পাশের ঘরে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপরই ছুরি হাতে নিয়ে তাকে ভয় দেখায় ও ধর্ষণ করে ওই যুবক ৷ এ কথা কারওকে বললে সে মেয়েটির পরিবারের সবাইকে খুন করে দেবে বলেও নাকি হুমকি দেয় অভিযুক্ত ৷
আরও পড়ুন:লাগাতার ধর্ষণে সন্তান প্রসব নাবালিকার, গ্রেফতার প্রতিবেশী বৃদ্ধ
ঘাবড়ে গিয়ে পরিবারের কথা ভেবে আর কারওকে কিছু বলেনি নিগৃহীতা ৷ কিন্তু ধর্ষণের জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে । মাস চারেক পেরোতেই মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার মা । তিনি মেয়েকে প্রশ্ন করলে সে তখন সব কথা খুলে বলে । মেয়েটির মা বলেছেন, “ঘটনার পর ছেলেটির ভয়ে মেয়ে কাউকে কিছু বলেনি । হুমকি দিয়ে মেয়ের মুখ বন্ধ করে ছেলেটি বাইরে চলে গিয়েছে । গোটা ঘটনা জানার পর গ্রামবাসীরা আমাদের ছি ছি করছে । আমি এই মেয়েকে নিয়ে কী করব । থানায় অভিযোগ জানানোর পর তৃণমূলের লোকজন আমাদের ভয় দেখাচ্ছে । বলছে, তারাই নাকি সালিশি করে এর মীমাংসা করে দেবে । আমরা দিন আনি দিন খাই । আমরা কি নায্য বিচার পাব না ?”
কিশোরীর বাবার বক্তব্য, “ঘটনার কথা আমরা আগে জানতেই পারিনি । ছেলেটির ভয়ে মেয়েও কিছু বলেনি । এ নিয়ে আমরা যেন থানায় না যাই, এই হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন । কিন্তু সাতদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা । শেষ পর্যন্ত মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি ।”