কলকাতা, 10 মার্চ: পোস্তর বড়া থেকে পোস্ত বাটা কিংবা আলু-পোস্ত, এই সব খাবারের পদই বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় ৷ তাই মহার্ঘ হলেও সব বাঙালির রান্নাঘরে খাবারে ব্যবহৃত এই উপকরণটির দেখা মেলে ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চান আরও সস্তায় বাঙালির পাতে পোস্ত তুলে দিতে ৷ সেই কারণে তাঁর সরকারের তরফে কেন্দ্রকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ৷ মমতার সরকার চায় বাংলাতেও পোস্ত চাষের অনুমতি দিক কেন্দ্র ৷ মুখ্যমন্ত্রীর আশা, বাংলার আবেদনে সাড়া দেবে মোদি সরকার (Modi Government) ৷
কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হবে ? কারণ, বাংলার কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে এই নিয়ে দু’বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৷ 2019 সালে 2 মে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার ৷ সেই চিঠি পোস্ত চাষের অনুমতি চাওয়া হয় ৷ তার পর চলতি মাসের 3 তারিখ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একটি চিঠি লিখেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Bengal Seeks Permission for Poppy Cultivation) ৷
কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম চিঠিতেই বাংলায় পোস্তর চাহিদা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হয়েছিল ৷ বাংলার মানুষ অনেক বেশি পোস্ত ব্যবহার করে ৷ তার পরিমাণ প্রায় 4200 মেট্রিক টন ৷ সেই চাহিদার জন্য পোস্ত চাষের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয় ৷ তার পরও এই নিয়ে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে ৷ ফলে দ্বিতীয় চিঠিতে কি মত বদল করবে মোদি সরকার, উঠছে এই প্রশ্নও ৷
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘পোস্ত চাষ আমরা করতে পারি না, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার এর অনুমতি দেয় ৷ ভারতের চারটে রাজ্যকে অনেকদিন ধরেই কেন্দ্র অনুমতি দিয়ে রেখেছে ৷ তারাই চাষ করে৷ কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয় ৷ এর পরও আমদানি করতে হয় ৷’’ তাঁর যুক্তি, বাংলায় পোস্ত চাষের অনমুতি দিলে ভারত সরকারেরও লাভ হবে ৷ কারণ, বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৷ তাই আমদানি করতে হবে না ৷ বিদেশি মুদ্রাও বেঁচে যাবে ৷