কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না-হওয়ায় মঙ্গলবারও রাজভবনে গিয়ে নিজের কাজে যোগ দেন নন্দিনী। রাজ্যপাল যে তাঁকে আর চাইছেন না-সেটা স্পষ্ট। এখানেই প্রশ্ন কী এমন হল যে, রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে এতদিন ধরে যিনি সেতুবন্ধনের কাজ করছিলেন তাঁকে হঠাৎ সরাতে চাইছেন রাজ্যপাল?
কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে যে তথ্য উঠে আসছে তা অত্যন্ত চঞ্চল্যকর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্র মারফত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করতে চলেছে রাজভবন। বিশেষ উপদেষ্টা পদে আনা হতে পারে তামিলনাড়ুর এক দুঁদে আধিকারিককেও। এই দু'জনের নিয়োগকে নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই রাজভবনে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই দু'জনের জন্য রাজভবনে আলাদা করে অফিস তৈরি করা হচ্ছে, এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এই প্রস্তাবেই নাকি রাজি হননি নন্দিনী । রাজভবনের একটি সূত্র মনে করছে, রাজ্যপাল এভাবে বিশেষ পরামর্শদাতা নিয়োগ করতে পারেন কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন নন্দিনী (Nandini Chokroborty had reportedly questioned legality of the proposal to appoint special adviser)।
অতীতে জগদীপ ধনকর তাঁর পছন্দের কয়েকজনকে অস্থায়ীভাবে রাজভবনে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছিল বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে। এই পদক্ষেপ আইনি দিক থেকে যথাযথ কিনা সেটাই প্রশ্ন তুলেছিলেন নন্দিনী। আর এর থেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এক্ষেত্রে আর কাল বিলম্ব করেননি রাজ্যপাল। সরাসরি তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার বার্তা তিনি পাঠান রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। রাজ্যপাল জানিয়ে দেন নন্দিনীকে আর চান না তারপরই রাজভবন থেকে তাঁকে অব্যাহুতিও দিয়ে দেওয়া হয়। নবান্ন এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি না-করায় মঙ্গলবারও নন্দিনী রাজভবনে নিজের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন বলে খবর।