কলকাতা, 28 জুলাই : চিকিৎসার গাফিলতিতে স্ত্রীর মৃত্যু কি না তা নিয়ে মেডিকেল কাউন্সিলে অভিযোগ জানান স্বামী ৷ অভিযোগ পাওয়ার দু'বছর পরও রাজ্যের মেডিকেল কাউন্সিল কেন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি ৷ এরই সঙ্গে মেডিকেল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন শুনানির নির্দেশও দিয়েছেন তিনি ৷ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার কাউন্সিলকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ।
সোনারপুরের বাসিন্দা শ্রীরূপা পাইক দু'বছর আগে মারা যান । শ্রীরূপা হাইকোর্টের লোয়ার ডিভিশনের ক্লার্ক ছিলেন । তাঁর স্বামী প্রবীরকুমার পাইক বারুইপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক । এই দম্পতির কোনও সন্তান হচ্ছিল না । কৃত্রিম উপায়ে সন্তান আসে শ্রীরুপা পাইকের গর্ভে । 2017 সালের 8 অক্টোবর শ্রীরুপা শ্বাসকষ্ট ও পেটের যন্ত্রণা নিয়ে বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভরতি হন । পরদিন ডাক্তার USG করেন । দেখা যায় ওঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে ৷ সেইসময় তিনি 32 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা । চিকিৎসকরা জানান, যেহেতু গলব্লাডারের স্টোনটি বড় সেজন্য ওপেন সার্জারি করা হবে ৷ আর বাচ্চাটাকে বের করার জন্য সিজার করতে হবে । সে বছর ( 2017 সালের 18 অক্টোবর) হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ শ্রীরূপার ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করেন । কিছুদিন বাদে শ্রীরূপার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে । পরিবারের লোকজন সন্দেহ করে, হয়ত আবার গলব্লাডারে কোনও সমস্যা হয়েছে । এরপর ডাক্তাররা একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন । ঠিক হয় আবার অপারেশন করা হবে । সে বছর 23 অক্টোবর দ্বিতীয়বার অপারেশন হয় । বাচ্চাটিকেও বের করা হয় । বাচ্চাটি সুস্থ থাকলেও শ্রীরূপা পাইক সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হন । 2017- র 12 নভেম্বর তিনি মারাও যান ।
তখনই মেডিকেল কাউন্সিলে অভিযোগ জানান প্রবীরকুমার পাইক । কিন্তু দু'বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেইনি কাউন্সিল ।
মামলাকারী প্রবীরকুমার পাইকের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "2017 সালের 15 নভেম্বর শ্রীরূপার স্বামী আনন্দপুর বাইপাস থানায় ভুল চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন । থানা অভিযোগ নেয় পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যালি এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন ও রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে অভিযোগ জানাতে বলে ।