কলকাতা, 19 জুন: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । এর বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকলে দু'সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে মামলাকারীকে । 31 জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে । ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার সার্চ কমিটি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করলে মামলাকারীকে সঙ্গে সঙ্গে আদালতে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।
মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত সোমবার বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে স্বজন-পোষণের কোনও জায়গা নেই । বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হয় । নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ (সিলেকশন) কমিটির সদস্যপদে রাজ্যের প্রতিনিধি বেশি (3) রাখা হয়েছে বেআইনি ভাবে । সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনও রকম স্বজন-পোষণ যাতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের হস্তক্ষেপ মানা হয়নি । একজন নমিনি মুখ্যমন্ত্রীর, একজন উচ্চশিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যানের নমিনি রাখাটা বেআইনি ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় তাঁর সওয়ালে বলেন, যাঁরাই কমিটির সদস্য পদে থাকুন না কেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতির ভিত্তিতেই মনোনীত হন । পাশাপাশি রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনও এই সংক্রান্ত সার্চ কমিটি তৈরি হয়নি বলে জানান তিনি । যদিও অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তীর যুক্তি, উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় যৌথ তালিকাভুক্ত । ফলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা কেন্দ্রের । কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ।