কলকাতা, 23 জুন : বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করেন অমিত আগরওয়াল । তারপর ছেলেকে সঙ্গে নেন । ছেলেকে নিয়ে আসেন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর । নিয়ে আসেন কলকাতায় । ফ্লাইটের টিকিট বুক করাই ছিল । এ যেন নিখুঁত চিত্রনাট্য ।
অপরাধের কোনও রেকর্ড ছিল না । পুলিশ জেনেছে, ভদ্র পরিবারের আর পাঁচজনের মতই ছিলেন অমিত আগরওয়াল । থাকতেন উত্তরপাড়ায় । স্ত্রী শিল্পা আগরওয়ালের সঙ্গে বিবাহিত জীবন চলছিল ভালো-মন্দে । বছর তিনেক আগে হঠাৎই ছন্দপতন । সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে স্ত্রীর সঙ্গে । বছর দুয়েক আগে ফাইল হয় ডিভোর্সের মামলা । অমিতের দাবি ছিল একটাই । ছেলেকে চাই । তা মানতে চাননি শিল্পা । ছেলেকে নিয়েই চলে যান বেঙ্গালুরু । অমিত বারবার অনুরোধ করেছেন শ্বশুরবাড়িতে । কিন্তু ছেলেকে ছাড়তে চাননি কেউ । অন্তত প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমন সব তথ্য । হয়তো বা সেই কারণেই অমিতের মধ্যে জেগে উঠে জিঘাংসা। তারপরই খুনের পরিকল্পনা। গত সন্ধ্যায় অমিত ফুলবাগান থানা এলাকার আর কে সমাধি রোডের রামেশ্বরম বিল্ডিংয়ের বি-ব্লকে শ্বশুরবাড়ির ফ্লাটে আসেন । স্ত্রী শিল্পার সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় শ্বশুর সুভাষ ধানধানিয়া এবং শাশুড়ি ললিতা ধানধানিয়ার সঙ্গে । চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় । অন্তত পুলিশকে তেমনই জানিয়েছেন 70 বছরের সুভাষ । এই সময় হঠাৎই অমিত পিস্তল বের করে খুব কাছ থেকে ললিতাকে গুলি করেন । খুবই ভয় পেয়ে যান সুভাষ । তিনি কোনওরকমে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে বাইরের দিকে বন্ধ করে দেন। দৌড়ে চলে যান প্রতিবেশীদের ফ্ল্যাটে। খবর দেন ফুলবাগান থানায় ।