কলকাতা, 8 জুলাই: সকাল দেখলে বোঝা যায় দিন কেমন যাবে । এই প্রচলিত আপ্ত বাক্য কার্যত হারে-হারে মিলে গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই যেভাবে একের পর এক জেলায় অসান্তি, হিংসা ছড়িয়েছিল, তাতে ওয়াকিবহল মহল দাবি করেছিল বোমা-বারুদের গন্ধ থেকে মুক্ত থাকবে না পঞ্চায়েত ভোটের দিনও । আর তার জেরেই রাজ্য পুলিশে ভরসা রাখতে পারেননি খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি । এমনকী সুপ্রিম কোর্টও সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছিল । কিন্তু যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি এতটা ভরসা রেখেছিল হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, ভোটকর্মী এবং বিরোধীরাও, সেই বাহিনীকেই কার্যত শনিাবর ভোটের দিন দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হল । আর বাহিনীর অপ্রতুলতা এদিন স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা । বাহিনীকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কিছু সমস্যা ছিল তা মেনে নিয়েছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে, আইন-শৃঙ্খলার দায় এদিন রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়েছেন রাজীবা ।
এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একাধিক জেলা । ছাপ্পার সঙ্গেই দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের। এমনকী এদিনও ঝড়েছে রক্ত । এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভোটের দিন হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে 15 জন। কোচবিহার, খড়গ্রাম, রেজিনগ, মানিকচক, চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া, লালগোলা, আউশগ্রাম, নওদায় একের পর মৃত্যু মিছিল দেখেছে রাজ্যের মানুষ। তারপরও অবশ্য বিকালে অসহায় দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহাকে । এদিন অবশ্য রাজ্য়ের পুলিশের ঘাড়েই দায় চাাপতে দেখা গেল কমিশনারকে ।