কলকাতা, ২৫ জুলাই : হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নিগ্রহের ঘটনায় কলেজ প্রশাসন ও অধক্ষ্যকে কাঠগোড়ায় তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ।
আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, "এই ঘটনা নিন্দনীয় । রাজনৈতিক রং লাগানো ঠিক নয় ।" প্রশ্ন তোলেন, "ঘটনার সময় কলেজ প্রশাসন কী করছিল? কলেজ অধ্যক্ষ কোথায় ছিলেন? হঠাৎ করে তো আর হয়নি ৷ কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ? কলেজ প্রশাসনের তরফেও গাফিলতি রয়েছে ৷ ঘটনা নিন্দনীয় ৷ কিন্তু ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় ৷ ঘটনাটিকে মূল্যবোধের দিক থেকে দেখা হোক ৷ রাজনৈতিক দিক থেকে নয় ৷"
ভিডিয়োয় শুনুন WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসুর বক্তব্য আজ তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু দলীয় ছাত্র সংগঠনকে কার্যত আড়াল করলেন । তিনি দায় চাপালেন কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর । বলেন, "এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় । কলেজ প্রশাসন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছিল । তাঁরা সেইসময় কী করছিলেন? কোথায় ছিলেন ? একজন শিক্ষক মার খাচ্ছেন আর বাকিরা সবাই চুপ করে দেখছে ৷ আমি চুপ করে বসে রইলাম আর আপনি মার খাচ্ছেন দূরে । এটাই তো ইন্ধন । সব কলেজে এমন ঘটনা ঘটে না । একটা বা দুটো কলেজে ঘটে ৷ সবাই কোথায় ছিলেন ৷ বিষয়টি কলেজ প্রশাসনের দেখা উচিত ।"
গতকাল হিরালাল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় TMCP সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হন ৷ ঘটনাটি নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় । আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করে অভয়বার্তা দেন । পাশে থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন ৷ তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চান ।