কলকাতা, 28 অক্টোবর: মেঘলা আকাশ দেখে নয়া আশঙ্কা। প্রশ্ন হতে পারে কোনও ঘূর্নাবর্ত কিংবা নিম্নচাপ কি সাগরে ঘনাচ্ছে? তা না-হলে আকাশের মুখ ভার কেন? বৃষ্টি তাল কাটতে পারে ধরে নিয়ে ইডেনের কর্মীরা মাঠ ঢাকার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রইলেন শুক্রবার। শনিবার ইডেনে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। মুখোমুখি বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডস। হেমন্তের শিশির ব্যাটার বোলারদের কতটা অসুবিধায় ফেলতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাই বলে বৃষ্টি কাঁটা! তবে ভরসা দিচ্ছে আলিপুর। বলছে, বৃষ্টি ফের নতুন ক্যালেণ্ডারে মিলবে। মানে আজ ক্রিকেট-উৎসবে বৃষ্টি বিশেষ বাধা হবে- এমন ভাবার সঙ্গত কারণ নেই।
আর্দ্রতা কাটিয়ে রুক্ষতার পরশ বাতাসে। সূর্য ডুবলেই ঠাণ্ডার অনুভূতি গায়ে বিঁধছে। নিম্নচাপ- ঘূর্নিঝড় এখন অতীত। ঋতু পরিবর্তনের পরিবেশ ভালোভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে। উত্তুরে হাওয়া প্রবলভাবে ঢুকছে বলা যাবে না। তবে বাতাসে একটা শিরশিরানি ভাব অনুভূত হচ্ছে। আলিপুর অবশ্য এই পরিস্থিতিকে শীতের আগমনী বলতে নারাজ। কারন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 20 ডিগ্রিতে পৌঁছলে তবে সেটাকে শীতের আগমনী হিসেবে ধরবে হাওয়া অফিস। রোদের তাপ গায়ে সেভাবে লাগছে না। দিনও ছোট হতে শুরু করেছে।
সূর্য ডুবলে মনোরম আবহাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। বাংলা ক্যালেণ্ডার বলছে সময়টা হেমন্ত। গত দু'বছর ধরে কিছুটা হলেও হেমন্ত কাল অনুভূত হচ্ছে। তার আগের কয়েক বছর এই অনুভূতি থেকে বঞ্চিত ছিল বঙ্গবাসী। হিমের পরশ বাতাসে, ঠাণ্ডার শিরশিরানিতে হেমন্তের হাত ধরে শীতের আগমনের পথ প্রশস্ত করছে।। হাওয়া অফিস আগামী পাঁচদিনের যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে শুষ্ক আবহাওয়ার কথা বলা হয়েছে। উত্তুরে ঠাণ্ডা বাতাস যে ঢুকছে তা অনুভূত হচ্ছে। রাতে এবং ভোরের দিকে পাখা চালানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। বদলে হালকা চাদর গায়ে দিলে ভালো লাগছে।