কলকাতা, 15 এপ্রিল : চটকল খোলার জন্য রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেই চিঠিতে সায় দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এনিয়ে নবান্নে একটি ছোটো বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । তারপরই রাজ্যের চটকলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার ।
লকডাউন চললেও চালু রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবা । প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য সামগ্রী, সবজির কেনা-বেচা চলছে । এক্ষেত্রে মালপত্র বহনে চটের বস্তা এবং ব্যাগ খুব প্রয়োজনীয়। এদিকে লকডাউনের জেরে চটকলগুলি বন্ধ থাকার ফলে খাদ্যশস্য প্যাকেজিং এবং বহনের জন্য অভাব দেখা দিয়েছিল চটের বস্তা ও ব্যাগের।
সামগ্রিক পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। চিঠিতে তিনি উল্লেখ কছেন,"রাজ্যের 18 টি চটকলে 25% শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে এখনই উৎপাদন শুরু করা হোক। তা নাহলে খাদ্যশস্য প্যাকেজিং ও বহনের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হবে।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই চিঠিকে গুরুত্ব দিয়েই আজ নবান্নে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তরপরই চটকল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "চটজাত দ্রব্য উৎপাদনের জন্য শ্রমিকদের কাজে লেগে যেতে হবে। শুধুমাত্র 18 টি চটকল নয়, পরে সবকটি চটকল খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। নাহলে বৈষম্য তৈরি হবে। সমস্ত নিয়ম মেনেই চটকলগুলিতে কাজ চলবে।"