দিল্লি ও কলকাতা, 2 মার্চ : আব্বাসদের সম্ভাব্য জোটসঙ্গী হিসেবে দেখা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের চিন্তাভাবনাকে মোটেই ভালভাবে দেখছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি অংশ । বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেও শুরু করে দিয়েছে, তাও আবার একেবারে প্রকাশ্যে । প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আনন্দ শর্মা প্রদেশ কংগ্রেসের রণনীতি বিরুদ্ধ প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন । সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনোই কোনওরকম বাছ-বিচার করতে পারে না বলে টুইটারে লিখেছেন তিনি । আর এ-ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক শক্তি বলতে তিনি সরাসরি আব্বাসের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নামও উল্লেখ করেছেন ।
টুইটারে আনন্দ শর্মা লিখেছেন, "আইএসএফ এবং সমতুল্য দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দলের মূল ভাবনা এবং গান্ধি-নেহরুরা যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন তার পরিপন্থী । বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা অবশ্যই দরকার ছিল ।"
তিনি আরও লেখেন, "সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনোই কোনওরকম বাছ-বিচার করতে পারে না । সবরকম ভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করা উচিত । এই ধরনের মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি এবং সমর্থন লজ্জাজনক । তাঁর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত ।"
মার্চ থেকেই বিধানসভা ভোট শুরু হয়ে যাচ্ছে বাংলায় । এবার লড়াইটা মূলত ঘাসফুল বনাম পদ্মফুল । কিন্তু রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে যে ভিড় চোখে পড়েছিল, তারপর থেকে আর কেউই জোর গলায় বলতে পারছেন না লড়াইটা দ্বিমুখী । বরং বিমান-অধীর-আব্বাসদের ত্রিশক্তি জোট বিকল্প শক্তি হয়ে উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই । ভোটবাক্সের লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফয়ের সংযুক্ত মোর্চা অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা ।
আরও পড়ুন : আব্বাস-অধীরের স্নায়ুযুদ্ধ, জোটের আকাশে কালো মেঘ নিয়ে শেষ হল বামেদের ব্রিগেড
তবে 28 ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডেও বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চাকে । মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছিলেন অধীর চৌধুরী । আর সেই সময়েই ব্রিগেডের মঞ্চে ওঠেন আব্বাস । সঙ্গে সঙ্গে ছন্দপতন । মঞ্চের সামনে থাকা আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছাসে বক্তব্য থামাতে হয়েছিল অধীরকে । বক্তব্য মাঝপথেই ছেড়ে দিতে চাইছিলেন প্রদেশ সভাপতি ।