কলকাতা, 1 অগস্ট:আবার সংসদীয় ও অসংসদীয় এই প্রশ্নে উত্তাল হল রাজ্য বিধানসভা । মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব এনেছিল শাসকপক্ষ । আর সেই আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়ে আলোচিত হল সংসদীয় এবং অসংসদীয় এই বিশেষ শব্দবন্ধ দুটি ।
যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত বিধানসভার দ্বিতীয় অর্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে আনা শাসকপক্ষের প্রস্তাবে হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বা অভিনেতা হিরণের বক্তব্যকে নিয়ে । গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মণিপুর নিয়ে আলোচনায় বলা একটি শব্দ 'হরিদাস পাল' ছিল মূল আলোচনার বস্তু । এই শব্দবন্ধ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেন অভিনেতা-বিধায়ক ।
এখানেই শেষ নয়, বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরটিআই রিপোর্ট সরাসরি বিধানসভায় পেশ না করে তার রেফারেন্স তুলে ধরেন তিনি । আর তাতেই আপত্তি করেন উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন:না-পারলে আমাদের দায়িত্ব দিন, আমরা মণিপুরে শান্তি ফেরাব: মমতা
তিনি বলেন, "বিধানসভার ভিতরে এমন শব্দ ব্যবহার করা যায় না, যা অন্যদের প্রতি অসম্মানজনক মনে হয় । একইভাবে যে বিষয়ে আমরা বক্তব্য রাখব, তার রিপোর্ট যদি বিধানসভায় আগে থেকে পেশ করা না থাকে তা বিধানসভায় রেফারেন্স হিসাবে জমা করেই বক্তব্য রাখতে হয় । যেহেতু বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় যে ক্যাগ রিপোর্টের কথা বলছেন, তা বিধানসভায় পেশ করা হয়নি, অতএব এই নিয়ে মন্তব্য করা যায় না ।"
এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায় বিধানসভায় ।
শাসকদলের তরফ থেকে উপমুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেন, আগে বিষয়টি বিচার করা দরকার হরিদাস পাল শব্দটি সংসদীয় কি না । হরিদাস কথার অর্থ হল হরির দাস । এটা কীভাবে অসংসদীয় হতে পারে !"
উলটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "আপনি বলছেন অসংসদীয় কথা, মানহানিকর কিছু বললে তা বিধানসভার প্রসিডিং থেকে বাদ হবে । এ ক্ষেত্রে আমাদের আবেদন থাকবে একটা ডিকশনারি প্রকাশ করুন, কোন কোন শব্দ বলা যাবে না - তা নির্দিষ্ট করুন । আমি বিরোধী দলনেতার পদ থেকে বসে বলছি, আমরা বিষয়টিকে মেনে চলব । কিন্তু শাসকপক্ষকেও তা মেনে চলতে হবে । মাননীয় তাপসবাবুকে আমি বলতে চাই । শাসকদলের দলনেতা গতকাল শুধু হরিদাস নয়, ঘেউ ঘেউ বলেছেন । ঘেউ ঘেউ মানুষ করে না । কারা করে সবাই জানে । তাই এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না । আমি অধ্যক্ষের চেয়ারের রুলিং সাপোর্ট করি । তবে এক চোখ বন্ধ করে তা হওয়া উচিত নয় । দুটো চোখ খুলে দুদিকে তাকিয়ে তা করতে হবে ।"