কলকাতা, 30 মে : 13 মে উচ্চমাধ্যমিকের হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির উত্তরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। 10-12 দিনের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনি করে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে মার্কস ফয়েল জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষকদের। সূত্রের খবর, এবার সেই মার্কস ফয়েল তথা পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা পরীক্ষকদের থেকে সংগ্রহ করে 3-5 জুনের মধ্যে সংসদের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধান পরীক্ষকদের।
প্রধান পরীক্ষকদের 3-5 জুনের মধ্যে নম্বর জমা দেওয়ার নির্দেশ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের - corona virus news
29 জুন থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি। সেই পরীক্ষার শেষের দিন থেকে 1 মাসের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে বলে, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কোরোনা আবহে মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গেছিল চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। বাকি থাকা তিনদিনের পরীক্ষা 29 জুন, 2 ও 6 জুলাই হবে বলে, কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাকি থাকা পরীক্ষার দিন ঘোষণার আগেই হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। গত 13 মে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জারি করা নির্দেশিকায়, প্রধান পরীক্ষকদের থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে মূল্যায়নের জন্য নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষকদের। অন্যান্য বছর 2-25 দিন সময় নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতেন পরীক্ষকরা। কিন্তু, এবছর তাদের 10-12 দিনের মধ্যে খাতা দেখার কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মূল্যায়নের সঙ্গে স্ক্রুটিনির কাজও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে বলা হয়েছিল। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সেই মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন পরীক্ষকরা। ধীরে ধীরে তাঁরা মার্কস ফয়েল প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা করছেন।
সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল, অন্যান্য বছরের মতো এবছর প্রধান পরীক্ষকদের কাছে নম্বরের সঙ্গে উত্তরপত্রগুলি পরীক্ষকদের জমা দিতে হবে না । এবছর পরীক্ষকদেরই উত্তরপত্রগুলি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে । মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির পর শুধুমাত্র মার্কস ফয়েল ই-মেল বা ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে পাঠাতে হবে। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রধান পরীক্ষকরা পরীক্ষকদের মার্কস ফয়েলের হার্ডকপিই জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যে সকল পরীক্ষকরা প্রধান পরীক্ষকদের কাছাকাছি থাকেন তাঁরা গিয়ে জমাও করে দিচ্ছেন। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষকরা দূরে থাকায় তাঁরা এসে মার্কস ফয়েল জমা করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বহু পরীক্ষক। উত্তরপত্র মূল্যায়ন হয়ে গেলেও তাঁরা কোরোনা আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে গিয়ে নম্বর জমা করে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
পরীক্ষকদের থেকে নম্বরের তালিকা সংগ্রহ করে 3-5 জুনের মধ্যে তা সংসদের কাছে জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধান পরীক্ষকদের। 29 জুন থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাগুলির শেষের দিন থেকে 1 মাসের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে বলে একাধিকবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ সম্পূর্ণ করে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চাইছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু, কোরোনা আতঙ্ক ও গণপরিবহন স্বাভাবিক না হওয়ায় সেই লক্ষ্যে কিছুটা হলেও বাধা তৈরি হয়েছে ।