কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে সিআইডি ৷ গোয়েন্দারা প্রথমে লালন শেখের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে চান ৷ নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, "এই ধরনের কাস্টোডিয়াল ডেথের মতো ঘটনায় কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করতে হয় ৷ পরিবারের লোকজনও সেখানে উপস্থিত থাকতে পারে এবং গোটা ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করা বাধ্যতামূলক ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ময়নাতদন্তের সময় এই সব নিয়মগুলি মানা হয় না ৷"
সিবিআইয়ের গাফিলতিগুলি প্রথমে লিপিবদ্ধ করতে চাইছেন গোয়েন্দারা ৷ বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ সিবিআই হেফাজতে ছিলেন ৷ গোয়েন্দাদের অভিযোগ, কোন ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখা হলে সেখানে শৌচালয়ের নীচের ও উপরের দিকের দরজায় বেশ কিছুটা ফাঁক রাখা অত্যন্ত জরুরি ৷ 24 ঘণ্টা সেই ব্যক্তিকে মনিটরিং করাও বাধ্যতামূলক ৷ শৌচালয়ে গেলেও যাতে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির পা দেখা যায় সেই ব্যবস্থা করে রাখা প্রয়োজনীয় ৷
আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের, আত্মহত্যা বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার