বোলপুর, 21 জুলাই: অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ায় দেশ-বিদেশের বিদ্বজ্জন-সহ মার্কিন নোবেলজয়ীরা 'স্বার্থপর' বলল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ! একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই উল্লেখ করেছে তারা ৷ যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ৷ এদিন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা চলাকালীন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ফের 'জমি দখলকারী' উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন ৷ সেখানেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানো সকল শিক্ষাবিদদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে 'স্বার্থপর' বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷
এদিন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে অমর্ত্য সেনকে 'বেআইনি ভাবে জমি দখলকারী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বিশ্বভারতী তার অবস্থান থেকে একচুলও যে সরবে না, সেকথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে ৷ যদিও, মামলা চলাকালীন ফের অমর্ত্য সেনকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে 'জমি দখলকারী' বলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ অভিযোগ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়া দেশ-বিদেশের তাবড় শিক্ষাবিদদের 'স্বার্থপর' আখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ বিশ্বভারতীয় মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এহেন আচরণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিন্দা শুরু হয়েছে ৷ উল্লেখ্য মূলত দুই মার্কিন নোবেলজয়ী এবং ভাষা বিজ্ঞানীকে নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে বিতর্ক নিত্যদিনের ঘটনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ যার শুরুটা হয়েছিল বোলপুরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসব বন্ধ করা দিয়ে ৷ এমনকি ভাটা পড়েছে কবিগুরুর হাতে শুরু হওয়া বহু প্রথায় ৷ পর্যটকদের জন্য দীর্ঘ 3 বছর ধরে বন্ধ আশ্রম প্রাঙ্গন ৷ যা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন পড়ুয়া, আশ্রমিক থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যপিকাদের একটা বড় অংশ ৷ সরব হয়েছেন বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসীও ৷ কিন্তু, সেই সবে কর্ণপাত করতে নারাজ কর্তৃপক্ষ ৷