কলকাতা, ৩০ নভেম্বর : প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকপদে নিয়োগের জন্য গত ২৫ নভেম্বর থেকে নথি যাচাইয়ের আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাত্র ছয় দিনেই ২৯ হাজারের কছাকাছি অনলাইন আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। এই আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে আবেদনের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নথি যাচাই; জমা পড়ল 29 হাজারের কাছাকাছি আবেদন
২৫ নভেম্বর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে আবেদনের সেই পোর্টাল। আজ দুপুর পর্যন্ত ২৯ হাজারের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে। এত সংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় আশঙ্কায় রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের একাংশ।
১৬ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণার পরেই তৎপর হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে শুরু করা হয় ২০১৪ সালের TET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এমন প্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের জন্য আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। গত ২৫ নভেম্বর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে আবেদনের সেই পোর্টাল। আগামী এক ডিসেম্বর পর্যন্ত www.wbbpe.org -ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে। জানা গেছে, প্রত্যেক প্রার্থী অনলাইনে তাঁর আবেদনপত্র জমা করার সময় দেখতে পাচ্ছেন মোট কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারী প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ২৫ নভেম্বর সন্ধে থেকে পোর্টাল খোলার পর থেকে গড়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আবেদন জমা পড়ছে এবং আজ দুপুর পর্যন্ত ২৯ হাজারের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে।
তবে, এত সংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় আশঙ্কায় রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের একাংশ। প্রাথমিক TET উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ঐক্যমঞ্চের সহ সম্পাদক প্রিয়ব্রত দাস বলেন, "আমরা যা অনুমান করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ছে। এটা আমাদের জন্য খুব বড় দুশ্চিন্তার । কারণ, আমরা রেগুলারে D.El.Ed করা প্রার্থী। আমরা আশা করেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, ২০ হাজার প্রার্থী আবেদন করবেন সাড়ে ১৬ হাজার শূন্যপদের জন্য। সেখানে ইতিমধ্যেই নয় হাজার অতিরিক্ত হয়ে গেছে। এখনও আবেদন গ্রহণ চলবে এক তারিখ পর্যন্ত। D.El.Ed-এর সঙ্গে B.Ed-ও অ্যালাও করা হয়েছে। তাই আবেদনের সংখ্যা এত বেড়ে যাচ্ছে। আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।"