কলকাতা, 12 অক্টোবর: ধরনায় বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। পড়ুয়াদের স্লোগানের বিরুদ্ধে এবার অরবিন্দ ভবনের সামনেই ধরনায় বসলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রেজিস্ট্রার, সহকারি উপাচার্য, ডিন অফ সায়েন্স-সহ ইসির অন্যান্য সদস্যরা। বুধবার প্রায় রাত 11টা থেকে ধরনায় বসেন তাঁরা, যা এখনও চলছে। এতদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে ধরনা বা অবস্থান আন্দোলনে বসতে। এই প্রথম ধরনা দিতে দেখা গেল স্বয়ং উপাচার্যকেই। যাকে ঘিরে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
26 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গতবারের ডাকা ইসি বৈঠকে 12 ঘণ্টা পরেই কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই জানা গিয়েছিল। তাই খুবই অল্প সময়ে আরও একটা ইসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই কথা মতো বুধবার আচমকাই ইসি বৈঠক ডাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বৈঠকে মূলত আলোচনার বিষয়ে ছিল ছাত্রমৃত্যু ও ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তবে ইসি বৈঠক ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গতবারের মতো ঘরের সামনে স্লোগান শুরু করেন পড়ুয়ারা। সেই স্লোগানের সুর যত চড়েছে ততই বেড়েছে ধৈর্য্য হারিয়েছেন ইসির সদস্যরা।
তাই অবশেষে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এই ধরনা অবস্থান নিয়ে অন্তর্বতী উপাচার্য বলেন, "ইসি বৈঠক যেভাবে হওয়া উচিত সেভাবে করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা এক ধরনের ব়্যাগিং। পড়ুয়ারা কতগুলো দাবি নিয়ে এসেছিল। তাদের বক্তব্য সেইসব দাবির সমাধান এখনই করতে হবে। আমরা প্রথম তাদের ঢুকতে দিইনি। কারণ আগেরবার ডেপুটেশন নিয়েই বৈঠক সাড়ে বারো ঘণ্টা হয়েছিল। গতকাল তিনটে থেকে বৈঠক শুরু হয়। তখনই ডেপুটেশনের জন্য হাজির হয় তারা। প্রথম আমরা তাদের না করি। তারপর তারা একপ্রকার জোর করেই বৈঠকে ঢোকে।
এরপর তিনি বলেন, "এভাবে তো ইসি চালানো যায় না। ওদের বক্তব্য কেন তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে চললে ইসি বৈঠক করাই সম্ভব নয়।" যদিও একথা মানতে চাননি পড়ুয়ারা। তাঁদের পালটা অভিযোগ, স্টুডেন্ট সংক্রান্ত যেকোনও কমিটি হবে সেখানে হস্টেলের প্রতিনিধি রাখতে হবে। হস্টেলের প্রতিটি ব্লক থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখতে হবে। ইউনিয়নের একজন করে থাকছে। তাতেও হবে না। 15টি হস্টেলের প্রতিটি ব্লক থেকে একজনকে রাখতে হবে। এরপরই শিক্ষকরা বাইরে বসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবে কাজ চালানো সম্ভব নয়। যতক্ষণ এই বিষয়ে কোনও বিশ্বাসযোগ মহল থেকে আশ্বাস না-পাই ততক্ষণ এই অবস্থান চলবে।
আরও পড়ুন:12 ঘণ্টার কর্মসমিতির বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র, অসুস্থ উপাচার্য