ভবঘুরে নন্দের খাওয়া-থাকা ও কাজের ব্যবস্থা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কলকাতা, 24 অক্টোবর: বাড়ির লোকজনের মার খেয়ে বাড়ি ছেড়ে ছিলেন । তারপর দীর্ঘ আট বছর কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে আছেন হাওড়ার কদমতলার নন্দ । নবমীর রাতে সেই নন্দের কপালে ‘রাজ-যোগ’ ! রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নজরে এলেন তিনি । জুটল থাকা-খাওয়া ও কাজ । রাজভবনের কোয়ার্টারে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । মালির কাজ করবেন রাজভবনের বাগানে । রাজ্যপাল নিজে নন্দের সঙ্গে কথা বলে অধিকারিকদের এই নির্দেশ দেন সোমবার ।
রাজভবন সূত্রের দাবি, শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাতে সোমবার রাজভবন থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চিকিৎসকদের কোয়াটার্সে গিয়েছিলেন । চিকিৎসকদের কোয়াটার্স থেকে নেমে রাজভবনের পুজো মণ্ডপের দিকে যেতেই ফুটপাতে ভবঘুরে নন্দকে শুয়ে থাকতে দেখেন রাজ্যপাল । যাঁর পরনে ছিল ছেঁড়া-নোংরা জামা এবং হাফ প্যান্ট । রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিকের কাছে নন্দের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে চান ।
প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ভবঘুর নন্দ ওরফে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় রাজ্যপাল ও তাঁর আধিকারিকের । নন্দ জানান, তাঁর বাড়ি হাওড়াতে । পারিবারিক ঝামেলার কারণে আট-নয় বছর আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন । তারপরেই ধর্মতলা চত্বরের বিভিন্ন অংশে তাঁর জীবনযাপন । একবেলা খেতে পেলে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন । কখনও ধর্মতলা ট্রাম ডিপো, কখনও শহিদ মিনারের নিচে, কখনও বা কলকাতা ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় ছাউনির নিচে রাতের পর রাত কাটিয়েছেন তিনি ।
ঠিক তেমনই রাজভবন এলাকায়ও আসা-যাওয়া ছিল তাঁর । সেই সুবাদেই আজ রাজভবনের উত্তর ফটকের সামনে কোয়ার্টারের নিচে তিনি শুয়ে ছিলেন । সেই সময়ই রাজ্যপালের নজরে আসেন নন্দ । রাজ্যপালকে তিনি জানান মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু হলেই চলবে । বড় ঘর তাঁর চাই না । তবুও রাজ্যপাল আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোয়ার্টারে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে । তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করবে রাজভবন । কাজ হিসেবে বাগানের মালি হিসেবে তাঁকে রাখা হবে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল ।
আরও পড়ুন:অষ্টমীতে রাজভবন থেকে বেরিয়ে ফুটপাথবাসীদের পাশে রাজ্যপাল! শিশুদের করালেন মিষ্টিমুখ