কলকাতা, 2 অক্টোবর: সোশাল মিডিয়ায় একই ভিডিয়ো পোস্ট করে দুই বিপরীত মেরুর রাজনৈতিক দল কার্যত একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন ৷ রাজঘাটে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷ তৃণমূলের তরফে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিকের ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, সেই একই ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে পালটা বিঁধেছেন ৷
আবাস যোজনা, 100 দিনের বকেয়া-সহ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে অভিযোগ তুলে সোমবার রাজঘাটে ধরনায় বসে তৃণমূল ৷ দু'ঘণ্টার জন্য মহাত্মা গান্ধির সমাধিস্থলে অবস্থান করার কথা ছিল রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের ৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেই অবস্থান জোর করে তুলে দেয় পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের ৷ এমনকী সাংবাদিক বৈঠকের মাঝপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ বলে অভিযোগ ৷ আর পুলিশের সেই ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে এক সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভিডিয়ো পোস্ট করেছে তৃণমূল ৷
তৃণমূলের তরফে দিল্লি পুলিশের এক ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিযোগ করা হয়, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সম্পর্কে একজন আইপিএস অফিসারের করা অবমাননাকর মন্তব্য ৷ রাজঘাটে বাংলার অধিকারের জন্য আমাদের নেতারা যেতে পারবেন না ! বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের কণ্ঠস্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছে, তা প্রত্যক্ষ করা গভীর হতাশাজনক। আমরা চুপ করে থাকব না ৷"
আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্তের হুমকি গিরিরাজের, স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রীকে পালটা গ্রেফতারির দাবি অভিষেকের
এর পালটা সেই একই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিশানা করে লিখেছেন, "তৃণমূলের নেতারা চোর ৷ তাঁদের আচরণ লজ্জাজনক এবং ঘৃণ্য। গান্ধি জয়ন্তীতে, তারা রাজঘাটে বাপুকে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া সাধারণ মানুষকে বাধা দিয়েছে। তারা শুধু বেশি সময় ধরে অবস্থানই করেনি, বরং সাধারণ জনগণকে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাজঘাট কর্তৃপক্ষের বারবার অনুরোধ উপেক্ষাও করেছে ৷ শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তৃণমূল চোরদের বুঝতে হবে যে, মমতার পুলিশের বিপরীতে দিল্লি পুলিশ ৷ জনস্বার্থকে এইসব তৃণমূলের অপ্রাসঙ্গিক ভিভিআইপিদের থেকে তারা উপরে রাখে।"