কলকাতা, 19 ডিসেম্বর : গতকাল মাঝরাতে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন অমিত শাহ । আজ সকালে এনআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি । রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় একের পর এক বিস্ফোরণ, মুর্শিদাবাদে আলকায়দা যোগ নিয়েই সম্ভবত এইআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর । বৈঠক শেষে উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে যান অমিত শাহ । স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক ভিটে পরিদর্শন করেন । সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির 11 জনের প্রতিনিধিদল ।
সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে মহারাজদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি । জলযোগও সারেন সেখানে । মহারাজরা বেশ কিছু বই ও উত্তরীয় উপহার দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে । এদিকে বাইরে তখন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থকের ভিড় । কেন্দ্রীয় নেতাকে একবার স্বচক্ষে দেখতে চান তাঁরা । ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ।
এদিকে রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সন্ধিক্ষণে শুভেন্দু অধিকারী । সূত্রের খবর, আজই মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি । শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে জানা গেছে কলকাতা থেকে একইসঙ্গে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা শুভেন্দুর । তবে আজ সিমলা স্ট্রিট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বিষয়ে কিছুই বললেন না অমিত শাহ । বরং, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনদর্শনের কথাই তুলে ধরলেন তিনি । বললেন, " স্বামীজি তাঁর স্বল্প জীবনদশাতেই ভারতের জ্ঞান, ভারতের দর্শন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছিলেন । যখন অ্যামেরিকায় সর্বধর্ম সম্মেলন হয়েছিল, তখন স্বামীজি একটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে হিন্দু সনাতন ধর্ম বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরে ছিলেন । স্বামীজি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি আধুনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতাকে যুক্ত করেছিলেন ।"
আরও পড়ুন : দু'দিনের সফরে রাজ্যে শাহ, রয়েছে একাধিক কর্মসূচি
অমিত শাহ আরও বলেন, " স্বামীজি গোটা দেশকে আহ্বান করেছিলেন আগামী পঞ্চাশ বছর গোটা দেশবাসী যেন অন্য দেবদেবীর আরাধনা ছেড়ে শুধু ভারত মাতার আহ্বান করেন । আর সেই দিনের ঠিক পঞ্চাশ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়েছিল । আজ স্বামীজির জন্মস্থানে এসে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি । একটা পুণ্য অর্জন করে এখান থেকে ফিরছি । আমি আজও বিশ্বাস করি, 50 বছর আগে স্বামীজি যতটা প্রাসঙ্গিক ছিলেন, আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক আছেন । সেদিন স্বামীজির চিন্তাভাবনা যতটা প্রয়োজন ছিল, আমি মনে করি আজ তার থেকে বেশি প্রয়োজন । স্বামীজির দেখানো পথে চলার জন্য আমাদের সকলকে যেন ভগবান আর্শীবাদ দেন, সেই প্রার্থনা করছি । অনুপ্রেরণা প্রার্থনা করছি । এই পথ শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে । "