কলকাতা, 1 মে : কামারহাটির কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের দুই কর্মী Covid-19 আক্রান্ত । আপাতত বন্ধ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ এবং রেডিওলজি বিভাগের কয়েকটি পরিষেবা । আক্রান্ত এই দুই কর্মী সম্পর্কে ভাই-বোন । হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিক সহ অন্তত ৪০ জন কোয়ারানটিনে রয়েছেন । পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর বলে মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ । সংক্রমণ যখন কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় বলেও জানানো হয়েছে ।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, কামারহাটির এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আক্রান্ত দুই কর্মী সম্পর্কে ভাই-বোন । হাসপাতালের কাছেই তাঁরা থাকেন । একটি এজেন্সির মাধ্যমে এই দুইজন হাসপাতালে কাজ করেন । একজন কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ এবং অন্যজন রেডিওলজি বিভাগে কর্মরত । একজন 20 এপ্রিল এবং অন্যজন 22 এপ্রিল জ্বরে আক্রান্ত হন । সামান্য উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এই দুই জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায় । রিপোর্টে জানা যায়, এই দুইজন Covid-19 পজ়িটিভ । তাঁদের গতকাল রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সেকেন্ড ক্যাম্পাসে চালু হওয়া Covid হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । শুরুতে সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও পরে আর Covid-19-র কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি ।
কোরোনা আক্রান্ত 2 কর্মী, বন্ধ সাগর দত্ত হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, কামারহাটির এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আক্রান্ত দুই কর্মী সম্পর্কে ভাই-বোন । হাসপাতালের কাছেই তাঁরা থাকেন । একটি এজেন্সির মাধ্যমে এই দুইজন হাসপাতালে কাজ করেন । একজন কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ এবং অন্যজন রেডিওলজি বিভাগে কর্মরত । একজন 20 এপ্রিল এবং অন্যজন 22 এপ্রিল জ্বরে আক্রান্ত হন । সামান্য উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এই দুই জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায় । রিপোর্টে জানা যায়, এই দুইজন Covid-19 পজ়িটিভ ।
এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগকে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে । তবে রেডিওলজি বিভাগকে সম্পূর্ণ বন্ধ করা না হলেও আপাতত USG বাদে অন্য পরিষেবা চালু থাকবে । দুই বিভাগ মিলিয়ে অন্তত 40 জনকে কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে । এই 40 জনের মধ্যে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিক সহ 15-20 জন চিকিৎসক রয়েছেন । সম্পর্কে এই দুই কর্মী ভাই-বোন । এ ক্ষেত্রে একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে ।
রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তথা চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগকে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে । এই বিভাগের চিকিৎসকদের কোয়ারানটিনে যেতে হচ্ছে । এর মানে, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ । রেডিওলজি বিভাগে তাও কয়েকজন রোগীর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থেকে যায় । কিন্তু কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে রোগীদের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা নেই । কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসকরা সরাসরি রোগীদের চিকিৎসা করছেন না । ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁরা ডিউটি করছেন না । হাসপাতালের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিককেও কোয়ারানটিনে যেতে হয়েছে । মূলত অফিস ওয়ার্কের মধ্যে রয়েছেন, এমন কর্মীও Covid-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন । Covid-19 ভয়ঙ্কর জায়গায় চলে গিয়েছে । কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েছে । সরাসরি Covid-19 আক্রান্তের সংস্পর্শে না এসেও Covid-19-এর সংক্রমণ ঘটছে । তার মানে Covid-19-এ প্রচুর আক্রান্তের যাঁদের রোগনির্ণয় হচ্ছে না । এই আক্রান্তরা উপসর্গহীন অবস্থায় অথবা উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন । সংক্রমণ থার্ড স্টেজে চলে যাওয়ার সামিল ।”
সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "গাইডলাইন যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না । চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য PPE (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) কিট, N95 মাস্ক দেওয়ার ক্ষেত্রেও গাফিলতি থেকে যাচ্ছে । এর জন্য একের পর এক হাসপাতালে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, চিকিৎসক-নার্স-কর্মীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে ।”