কলকাতা, 27 এপ্রিল : এবার সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক আয়া COVID- 19 -এ আক্রান্ত । কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক আয়ার শরীরে কোরোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে । শনিবার তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে । এর পাশাপাশি ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক ফার্মাসিস্টের শরীরেও কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে ।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লাগোয়া স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন । এখানে যাঁরা আয়ার কাজ করেন তাঁরা সরকারি হাসপাতালের কর্মী নন । রোগীর বাড়ির লোক হিসেবে স্পেশাল অ্যাটেনডেন্ট নামে তাঁরা হাসপাতালে থাকতে পারেন । এই পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাও এভাবেই কাজ করেন ট্রপিক্যালে । কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভুগছিলেন তিনি । চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর সোয়াব টেস্ট হয় । শনিবার রিপোর্ট আসে । দেখা যায়, তিনি COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন । তৎক্ষণাৎ তাঁকে ভরতি করা হয় MR বাঙুর হাসপাতালে ।
কোরোনায় আক্রান্ত স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আয়া ও ফার্মাসিস্ট
কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক আয়া ও ফার্মাসিস্টের শরীরে COVID 19 -এর সংক্রমণ মিলেছে । তাঁদের একজনকে MR বাঙুরে ও একজনকে বেলেঘাটা ID হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ।
জানা গেছে, এই মহিলা বাড়িতে না গিয়ে কিছুদিন ধরে হাসপাতালেই থাকছিলেন । হাসপাতালের কারও প্রয়োজনে তিনি দোকান-বাজারেও যেতেন । চিকিৎসকরা মনে করছেন, সেখান থেকে তিনি সংক্রমিত হতে পারেন । আবার এর আগে এই হাসপাতালেরই অন্য এক আয়া-ও COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন । তিনি এই আয়ার সঙ্গেই থাকতেন । ফলে, সেখান থেকেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে ।
এই আয়ার পাশাপাশি স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের একজন ফার্মাসিস্টের রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে । তিনিও কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন । পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সোয়াব টেস্ট করান । যার রিপোর্ট শনিবার পজ়িটিভ এসেছে । গতকাল তাঁকে বেলেঘাটা ID-তে ভরতি করা হয়েছে ।
ফার্মাসিস্ট এবং আয়ার সংস্পর্শে আসা ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রায় 30 জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে চিহ্নিত করে তাঁদের সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । প্রত্যেককেই কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে ।