কলকাতা, 22 নভেম্বর: বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস)-এর মঞ্চ থেকে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বুধবার ছিল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শেষ দিন আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার এজেন্সি প্রসঙ্গ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ চড়া সুরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দেশের শিল্পপতিরা কেন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ! সব সময় তারা কেন ভয়ে ভয়ে থাকছেন !"
এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অতিরিক্ত কর শিল্পপতিদের উপর বোঝা তৈরি করছে।" মঞ্চ থেকেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, "শিল্পপতিদের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।" শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে এজেন্সির অভিযান নিয়ে চড়া সুর মমতার অভিযোগ, "শিল্পপতিদের গলার টুটি টিপে ধরার চেষ্টা করছে এজেন্সি।" একই সঙ্গে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে কেন্দ্রীয় সরকার এক পার্টি পরিচালনা করবে এবং রাজ্য সরকার অন্য রাজনৈতিক দল পরিচালনা করবে। এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আমি মনে করি মানুষের উন্নয়নের জন্য সব সময় সকলকে এক হয়ে কাজ করা উচিত। কেন্দ্রে একটা রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে রাজ্যে থাকা রাজনৈতিক দল কেন বঞ্চিত হবে এটা আমি বুঝতে পারি না। সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।"
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ারও কড়া সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষ করেছেন ক্যাশলেস ইকোনমি নিয়েও ৷ তাঁর স্পষ্ট দাবি, ক্যাশলেস ইকোনমি কোনওভাবেই কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে না। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে 40 শতাংশ কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে ৷ অন্যদিকে, রাজ্য সরকার 42 শতাংশ কর্মসংস্থান বাড়িয়েছে। পাশাপাশি এদিন তাঁর মন্ত্রিসভার সতীর্থদের উদ্দেশেও 'নিশ্চিন্তে' থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বাংলায় শিল্প করতে আসলে কোনও অসুবিধা হবে না বলে শিল্পপতিদেরও আশ্বস্ত করেছেন তিনি ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমি মনে করি শিল্পের ক্ষেত্র সর্বদাই বাধা-মুক্ত হওয়া উচিত (মাস্ট বি দা গ্রিন ফিল্ড)।
কেন্দ্রীয় সরকার ট্যাক্স নিতেই পারে। কে তাতে বাধা দিচ্ছে ! আমরা সকলেই ট্যাক্স দিয়ে থাকি। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অতিরিক্ত করের বোঝা আসল সমস্যা তৈরি করছে। অতিরিক্ত করের বোঝা তাদের মানসিক সমস্যা তৈরি করছে। যদি মানসিকভাবে তারা সুস্থ না থাকে তাহলে অর্থ দিয়ে কী হবে !"