কলকাতা, 26 জুলাই : তিন তালাক বিল মুসলিম মহিলাদের স্বার্থ কতখানি সুরক্ষিত করবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার । তাঁর দাবি, এই বিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এই বিল ধ্বংসাত্মক ।
গতকাল লোকসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ হয় ৷ বিলটিতে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের মতো ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ৷ এই বিল নিয়ে ETV ভারতকে মিরাতুন নাহার বলেন, "এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি কেন্দ্রের শাসকদলের কোনওরকম সদর্থক ভূমিকা আমরা পাইনি । ওঁরা যা তা বলেন, দেখতে পাই বা শুনতে পাই, তা হল এই ধর্মের মানুষ কোনও দেশের জন্য বিপদজনক । দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি কমসংখ্যক হলেও এদেশের একটা অংশের মুসলিম মহিলা তিন তালাকের মতো কুপ্রথার শিকার হন । আর শাসকদলের দাবি, মুসলিম বোনেদের জন্যে তিন তালাক বিল পাশ করা হচ্ছে । কিন্তু যে পদ্ধতিতে তারা এই তিন তালাক দূর করতে চাইছেন তার মধ্যে আমি যতদূর জানি, তিন তালাক যিনি দেবেন তাকে জেলে যেতে হবে । যতদূর জানি তিন বছর বা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য জেলে যেতে হবে । কিন্তু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী যিনি তিন তালাক দেন, তাকে স্ত্রী সন্তানদের জন্য একটা খোরপোষও দিতে হয় । এখন প্রশ্ন হল, যে অপরাধী জেলে যাবেন তিনি কীভাবে এই খোরপোষ দেবেন? আমি যতদূর জানি খুব কম সংখ্যক পুরুষ তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেন । তবে কি মুসলমান পুরুষদের কারাগারে বন্দি করার জন্যই এই বিল পাশ করা হল? তালাকপ্রাপ্ত মহিলারা যদি খোরপোষ না পান তবে তাদের লাভটা কী হবে? উদ্দেশ্যটা যদি থাকে মুসলিম মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া তাহলে সেই উদ্দেশ্য কিন্তু খুব স্পষ্ট হচ্ছে না । রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের যে মনোভাব তাতে হঠাৎ তারা মুসলিম মহিলাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার একটা আপাত রূপ আছে । কিন্তু প্রকৃত রূপ হল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন । আসল হল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়েরক্ষতি করা । এবংসেই রূপটি ধ্বংসাত্মক ।"