কলকাতা, 6 জুন: শহরে যত্রতত্রভাবে গাছ কাটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পৌরনিগমের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের কাছে এই অভিযোগ রোজই জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না শহরে - kolkata municipal corporation
শহরের যে কোনও জায়গায় গাছ কাটা যাবে না। বেআইনিভাবে গাছ কাটলে ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ, বললেন কলকাতা পৌরনিগমের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
![অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না শহরে FIRHAD HAKIM ON TREES CUT DOWN](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-07:08-wb-kol-01-kmc-tree-plantation-7203415-vis-06062020190618-0606f-02553-1104.jpg)
ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে কলকাতা শহরের বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু গাছ বাড়ি বা দোকানের উপরে দিকে হেলে পড়েছে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের বা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এলাকার মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য গাছ কেটে ফেলছে। আজ কলকাতা পৌরনিগমের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানান, ইচ্ছে মত গাছ কাটা যাবে না। সরকারি অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা অপরাধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গাছ কাটা প্রতিরোধের জন্য ফরেস্ট অ্যাক্ট এ নির্দিষ্ট আইন আছে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুলিশ চাইলেই ফরেস্ট অ্যাক্টে যত্রতত্র গাছ কাটলে গ্রেপ্তার করতে পারে। শহরের যে কোন গাছ কাটতে গেলে বনদপ্তর এর থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ কাটতে হয়। এমনকী কলকাতা পৌরনিগম গাছ কাটতে গেলেও বনদপ্তর এর অনুমতি নিয়ে তবেই গাছ কাটতে পারে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে যদি গাছ কাটতে হয় সেই ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরনিগমের মুখে বনদপ্তরের থেকে আগে অনুমতি নিতে হয়। গ্রীন বেঞ্চে জবাবদিহি করতে হয় একটা গাছ কাটলে কতগুলো গাছ লাগানো হয়েছে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “গাছ কাটতে গেলে বনদপ্তর এর থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই গাছ কাটা যায়। বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কাজ কাটা অন্যায়। ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে শহরজুড়ে একাধিক গাছ মাটি থেকে উপরে পড়েছে ক্ষতি হয়েছে বহু গাছের। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেকেই নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলছে। বাড়ির সামনে বা কোন দোকানের সামনে গাছের জন্য অসুবিধা হচ্ছে অনেকেই এই ঘূর্ণিঝড়ে আমফানের সুযোগে সেই গাছগুলিকে কেটে ফেলছে। এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ করছে তারা। বাড়ির সামনে বা দোকানের সামনে কোন গাছের জন্য সাময়িক সমস্যা হতে পারে কিন্তু তার মানে এই নয় কাজটাকে কেটে ফেলতে হবে। ছোট্ট শিশু জন্মের পর যেমন সযত্নে লালন পালন করে থাকে বড় করে তুলতে হয় তেমনই ছোট চারা গাছকে সযত্নে লালন পালন করে বৃক্ষে পরিণত করতে হয়। একটা শিশুকে লালন পালন করে বড় করা একটা দায়িত্ব তেমন একটা ছোট চারা গাছকে বড় করে তোলা একটা দায়িত্ব। তা না হলে শিশুটা যখন বড় হবে অক্সিজেনের অভাবে শিশুটির শারীরিক অসুস্থতা তৈরি হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন না পেলে অসুস্থ শিশু জন্ম গ্রহণ করবে। তাই সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে গেলে আরো বেশি গাছের প্রয়োজন।“
পাশাপাশি তিনি বলেন, কলকাতাতে এমনি প্রয়োজনের তুলনায় গাছের সংখ্যা কম। কলকাতায় জায়গা কম থাকায় এবং শহরজুড়ে বড় বড় রাস্তার ফলে গাছের সংখ্যা কম রয়েছে। তার সঙ্গে আমফানের দাপটে শহরে বিপুল সংখ্যক গাছের ক্ষতি হয়েছে। গোটা শহরের মাত্র 7 শতাংশ খোলা জায়গা রয়েছে। শহরে নতুন পঞ্চাশ হাজার গাছ লাগানোর গাছ শুরু হয়েছে বলেও বলেন তিনি।