ড্রাইভিং লাইসেন্সে এবার 'স্মার্ট' পরিবর্তন! কলকাতা, 1 জুন: এবার থেকে এক টুকরো কাগজ নয় হাতে মিলবে একেবারে ল্যামিনেট করা মাইক্রো চিপ বসানো স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। জুন মাস থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে নয়া পরিষেবা। বৃহস্পতিবার এই স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
পরিবহণ ব্যবস্থার সমস্ত কাজকে ব্যবহারকারীদের কাছে সহজ-সরল করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েস অফ ইন্ডিয়া'র নিয়মে ওয়ান নেশন-ওয়ান কার্ডের রীতি মেনেই এই পরিষেবা বাংলাতেও চালু করা হল। চলতি মাস থেকেই চালু হচ্ছে পিভিসি বা স্মার্ট কার্ড আকারে ড্রাইভিং লাইসেন্স। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্সই নয়, রেজিস্ট্রেশন অফ সার্টিফিকেটেও নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং অত্যাধুনিক করায় সচেষ্ট রাজ্য পরিবহণ বিভাগ। তাই এবার বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং তাও আবার এটিএম কার্ডের আকারে। স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড। পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে অনলাইন এবং ক্যাশলেস ব্যবস্থা চালু করেছে পরিবহণ বিভাগ। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান যে ড্রেসিং পরীক্ষা দেওয়ার একঘন্টার মধ্যেই পাশ করলে সাটিফিকেটের সফট কপি মোবাইল ফোনে চলে আসবে। তারপর দুই দিনের মধ্যে বাড়ির ঠিকানায় চলে আসবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। তবে কাগজের আকারে নয়। হাতে মিলবে এটিএম কার্ডের মতো স্মার্ট কার্ড।
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, "স্মার্ট কার্ড পরিষেবার জন্য বাড়তি 200 টাকা আবেদনকারীর কাছ থেকে নেওয়া হবে। এই স্মার্ট কার্ডে মাইক্রোচিপ এবং কিউআর কোড বসানো থাকবে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কিউআর কোড। ফলে স্মার্ট কার্ড জাল করার বা কপি করার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না।"
এর আগেও বেশ কিছু বছর এই ধাঁচের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। তাতে চিপ থাকলেও ছিল না কিউআর কোড। এই কোডটি নতুন স্মার্ট কাডের স্বতন্ত্র। পাশাপাশি মাইক্রোচিপের মাধ্যমে পিভিডির সেন্ট্রাল কম্পিউটার সিস্টেমে সমস্ত স্মার্ট কার্ডের তথ্য নথিভুক্ত করা থাকবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। নতুন যারা আবেদন করবেন তাঁরা সবাই স্মার্ট কার্ড পাবেন। যাঁরা পুরনো কার্ড ব্যবহারকারী রয়েছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করলে পেয়ে যাবেন নতুন কার্ড। এই নতুন স্মার্ট কার্ড নিয়ে দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়া যাবে। তার জন্য আলাদা করে আর কোনও অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না।
আরও পড়ুন: কারও লার্নার লাইসেন্স, কারও মালবাহী গাড়ির; বেনিয়ম পুলকারে
কার্ডে কিউআর কোড থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের কাগজ সঙ্গে না রাখলেও চলবে। কার্ডটির কিউআর কোড স্ক্যান করে পাওয়া যাবে গাড়ি এবং গাড়ির মালিক সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য। কার্ডের প্রিন্টিং-এর জন্য 'রোজ ওয়াটার' নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পরিবহণ দফতর। অন্যদিকে এই কার্ডে প্রদত্ত যাবতীয় তথ্য পরিবহণ দফতরকে সরবরাহ করবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার। পাশাপাশি উপভোক্তাদের দোরগোড়ায় এই কার্ড পৌঁছে দিতে 'ইন্ডিয়া পোস্ট'-এর সঙ্গে মৌ সাক্ষর করেছে পরিবহণ দফতর।