কলকাতা, 18 নভেম্বর : বেসরকারি পরিবহনের হাল ফেরাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে সরকার ও বাস মালিক সংগঠনের মধ্যে । গতকাল ফের ময়দানের পরিবহণ টেন্টে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের 23টি জেলার বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন । তবে এবার সংগঠন সুটেন্ড ক্রেডিট কার্ডের মতো বাস মালিকদের অবস্থা ফেরাতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করার আবেদন জানায় সরকারের কাছে ৷
বৈঠকের পর ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু জানান, পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে মোট 12টি প্রস্তাব প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা ৷ তিনি বলেন, "30 জুন, 2022 পর্যন্ত বাসের ট্যাক্স, সিএফও ও পারমিট ফাইন মুকুব করতে হবে ৷"
গণপরিবহণে ক্রেডিট কার্ড
পুজোর পর বাস কমে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু বাসমালিকদের অর্থনৈতিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন ৷ বলেন, "অনেক বাসমালিক বিমার টাকা দিতে না পারায় তাই ট্যাক্স দিতে পারছে না, সিএফও করতে পারছে না ৷ এমনকি ব্যাঙ্কের ইএমআইও সময়মতো না দেওয়ায় বাসগুলি পড়ে আছে ৷" এই সমস্যার সমাধানে তিনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এর (Student Credit Card) মতো বাস মালিকদের জন্য ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থার কথা জানান ৷ তিনি বলেন, "গণপরিবহণে যদি 2-4 লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ড করা যায়, তাহলে বাংলা ভারতবর্ষকে মুখ দেখাবে ৷" তাঁর আশা, এর ফলে গণপরিবহণ অনেক সচল হবে ৷ বহু বাসমালিক প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপডেট করে বাস নিয়ে রাস্তায় ফিরতে পারেবে ৷
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি প্রস্তাবিত অর্থের ক্রেডিট কার্ড দিতে পারে, তাহলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা বাড়বে ৷ বকেয়া বিমা, ট্যাক্স আর সিএফ একে অপরের সঙ্গে জড়িত ৷ তাই এর সমাধান হলে বাসমালিকেরা বাস নামাতে পারবেন ৷ তবে সাধারণ সম্পাদক আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি ক্রেডিট কার্ড হয়ে যাবে ৷
ভাড়া বৃদ্ধি
ভাড়া বাড়ানো নিয়ে কোনও দাবি নেই বলে জানাল বাস মালিক সংগঠন ৷ তবে বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে ৷
আরও পড়ুন : West Bengal Transport: বাস কম থাকায় জবাব তলব রাজ্যের, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাসমালিকরা
সিএফ
রাজ্যের যে কোনও জায়গায় সিএফ করার সুবিধের কথা জানিয়েছেন গণপরিবহণ মন্ত্রীকে ৷ প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও মোটরভেহিলকসে যে কোনও গাড়ির সিএফ করা যেত ৷ কোনও প্রযুক্তিগত কারণে 2020-তে এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ আমরা এটা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি ৷" এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, কোনও গাড়ি যদি ওডিশা থেকে কলকাতায় আসে এবং পরবর্তী দিন তার সিএফ করার তারিখ ৷ এই অবস্থায় কলকাতায় যদি সিএফ করার সুবিধে না পাওয়া যায়, গাড়ির দুর্ঘটনা হলে দায়িত্ব কে নেবে ? কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকলেও লাইসেন্স করা যায়, ঠিক সে ভাবে যে কোনও জায়গায় সিএফ যাতে করা যায়, সে কথা জানিয়েছেন তিনি ৷