কলকাতা, 1 মে : আইন স্বীকৃতি দিলেও সমাজ এখনও সম্পূর্ণভাবে তাঁদের গ্রহণ করেনি । তাই এই পরিস্থিতিতেও কোনওরকম সাহায্য পাননি রূপান্তরকামীরা । তাই নিজেরাই কোনওরকমে নিজেদের সহায়তা করছেন । মানুষের কাছ থেকে এই ব্যবহারের পরও তাঁদের একটাই আবেদন । কোনও রূপান্তরকামী যদি কোরোনায় আক্রান্ত হয় অন্তত তখন যেন মানবিক হয় মানুষ । চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা যেন তাঁদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেন ।
রূপান্তরকামীদের প্রতি মানবিক হওয়ার আবেদন চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের
কোরোনা পরিস্থিতিতেও কোনওরকম সাহায্য মেলেনি । মানুষের কাছ থেকে এই ব্যবহারের পরও তাঁদের একটাই আবেদন । কোনও রূপান্তরকামী যদি কোরোনায় আক্রান্ত হয় অন্তত তখন যেন মানবিক হয় মানুষ ।
কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কত জন রপান্তরকামী বাস করেন সেবিষয়ে সরকারি কোনও পরিসংখ্যান নেই । তবে, তাঁদের নিয়ে কাজ করে চলা সংগঠনগুলির তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় বাস করেন প্রায় 5 হাজারের কাছাকাছি রূপান্তরকামী । এই কোরোনা পরিস্থিতিতেও তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়নি কেউ । কেন্দ্র সরকারের তরফে কিছু আর্থিক সাহায্য পেয়েছে । তবে, রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সাহায্যই মেলেনি । ফলে চূড়ান্ত আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের । এর মধ্যে যদি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও তাঁদের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়ে তাহলে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে । তাই তাঁদের আবেদন, অন্তত কোনও কোরোনা আক্রান্ত রূপান্তরকামীর দিকে যেন অবহেলার চোখে না তাকানো হয় । অন্যান্য রোগীর মতো তাঁদের প্রতিও যেন আন্তরিকতা দেখানো হয় ।
মেম্বার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য রঞ্জিতা সিনহা বলেন, "এমনিতেই কোরোনা আক্রান্তের মনের জোর একেবারে তলানিতে এসে দাঁড়ায় । তার উপর যদি কোনও কোরোনা আক্রান্ত রূপান্তরকামীকে দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় তাহলে তিনি সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন । তাই আমি আশা করব হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতার হাত বাড়িয়ে দেবেন । এই একই ব্যবহার ওয়ার্ডের অন্যান্য রোগীর থেকে পাওয়ারও আশা করব ।"